সন্তোষ কুমার মণ্ডল,আসানসোলঃ– পথ দুর্ঘটনায় এক যুবকের মৃত্যুর ঘটনায় উত্তেজনা ছড়াল আসানসোল জেলা হাসপাতালে। মৃতের পরিবার ও এলাকার বাসিন্দাদের বিরুদ্ধে হাসপাতালে ভাঙচুরের অভিযোগ। ঘটনায় আসানসোল দক্ষিণ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন হাসপাতাল সুপার।
আসানসোল দক্ষিণ থানার ডামরা কোলিয়ারির বাসিন্দা মৃত যুবকের নাম অভিজিৎ হাঁড়ি ( ৩৭)। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বুধবার রাতে জামুড়িয়ার একটি রেস্তোরাঁয় বন্ধুর জন্মদিনের পার্টিতে যোগ দিয়েছিলেন অভিজিৎ । রাত বারোটার পর দুই বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে বাইকে বাড়ি ফেরার পথে ১৯ নম্বর জাতীয় সড়কে কালীপাহাড়ি এলাকায় দ্রুতগতিতে থাকা একটি চারচাকা গাড়ি তাদের মোটরবাইকে ধাক্কা মারে। তাতে তিনজনই রাস্তায় ছিটকে পড়েন ও গুরুতর জখম হন। তিনজনকে আসানসোল জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা পরীক্ষা করে অভিজিৎ হাঁড়িকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। অন্যদিকে, অন্য দুই মোটরবাইক আরোহী মনোজ কুমার কেওট এবং জাভেদ আনসারিকে গুরুতর জখম অবস্থায় আসানসোল জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
অভিযোগ অভিজিৎ হাঁড়ির মৃত্যুর খবর পেয়ে তার পরিবারের লোকজনের পাশাপাশি ডামরা কোলিয়ারি এলাকার প্রায় শতাধিক মানুষ হাসপাতালে পৌঁছয়। সেই সময় হাসপাতালে উপস্থিত ছিলেন ঘাতক গাড়ির মালিক তথা চালক। মৃতের পরিজন ও এলাকার বাসিন্দারা তাকে পেয়ে মারধর শুরু করেন। ক্রমে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে ও এমারজেন্সি বিভাগের পাশে মৃতদেহ রাখার ঘরেও ভাঙচুর চালান তারা। আতঙ্কিত হয়ে পড়েন এমারজেন্সি বিভাগে ডিউটিরত চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্য কর্মীরা। খবর পেয়ে আসানসোল দক্ষিণ থানার বিরাট পুলিশ বাহিনী হাসপাতালে পৌঁছয় ও উন্মত্ত জনতাকে শান্ত করে, পরিস্থিতি সামাল দেয়।
প্রসঙ্গতঃ, হাসপাতালের নিরাপত্তার বিষয়টি মাথায় রেখে আসানসোল জেলা হাসপাতালে এমারজেন্সি বিভাগের বাইরে পুলিশ ক্যাম্প তৈরি করা হয়েছে। তারপরেও কি করে এই ঘটনা ঘটলো, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। অন্যদিকে, পুলিশ জানায়, ঘাতক চারচাকা গাড়িটিকে আটক করা হয়েছে ও দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পাশাপাশি জেলা হাসপাতালের ভাঙচুরের ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।





