সন্তোষ কুমার মণ্ডল,আসানসোলঃ- মঙ্গলবার থেকে আসানসোল সিবিআই আদালতে শুরু হল কয়লা পাচার মামলার ট্রায়াল। বিচারক রাজেশ চক্রবর্তীর এজলাসে চলছে এই মামলা। কয়লা পাচার কাণ্ডে সিবিআই যাদের নামে চার্জ গঠন করেছে, তাদের বেশিরভাগই এদিন বিচারকের এজলাসে উপস্থিত ছিলেন।
ট্রায়াল শুরুর প্রথম দিনই সাক্ষ্য দেন কোল ইন্ডিয়ার চিফ জেনারেল ম্যানেজার বা সিজিএম ( পার্সোনাল) পদমর্যাদার দুই আধিকারিক। প্রসঙ্গত এই মামলায় সিবিআই কোল ইন্ডিয়ার ১২ জন আধিকারিকের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে। তাদের মধ্যে ৯ জনের বিরুদ্ধে যাবতীয় তথ্য দিয়ে তদন্তে সিবিআইকে সাহায্য করার অনুমতি দেয় কোল ইন্ডিয়া। তাই এদিন কোল ইন্ডিয়ার দুই আধিকারিক সাক্ষ্য দিতে ডাকা হয়েছিল।
এই ন’জন কোন না কোন সময় ইসিএলের সদর দপ্তর, এরিয়া ও সিআইএসএফ বা নিরাপত্তা বাহিনীতে কর্মরত ছিলেন বা আছেন। এরা হলেন তন্ময় দাস, সুশান্ত বন্দোপাধ্যায়, সুভাষ মুখোপাধ্যায়, সুভাষ চন্দ্র মৈত্র, মুকেশ কুমার, অভিজিৎ মল্লিক, দেবাশীষ মুখোপাধ্যায়, অমিত কুমার ধর ও নরেশ সাহা।
এদিন এজলাসে ৯ জনের হয়ে তাদের দুই আইনজীবী শেখর কুন্ডু ও সোমনাথ চট্টরাজ দুই আধিকারিক বা স্যাংকশনিং অথরিটির কাছ থেকে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর জানার চেষ্টা করেন। বিচারকের সামনেই দুই আইনজীবী তাদের কাছ থেকে জানতে চান, গোটা বিষয়টি সম্পর্কে তারা কতটা অবগত আছেন? তারা কি সিবিআইকে কোনকিছু দিয়েছেন? কার নির্দেশে তারা এই ৯ জনকে অনুমোদন করেছেন? দুই আইনজীবীর এইসব প্রশ্নের উত্তরে দুই আধিকারিক শুধু জানান তাঁরা ঊর্ধতন আধিকারিকদের নির্দেশ পালন করেছেন মাত্র। এদিন দু’দফায় দু’ঘন্টারও বেশি সময় ধরে এই সাক্ষ্য দান পর্ব চলে। এরমধ্যে দুই আইনজীবীর সঙ্গে সিবিআইয়ের আইনজীবী রাকেশ কুমারের বাদানুবাদ হয়। এদিন সাক্ষ্য দান শেষে বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী আগামী ২১ ফেব্রুয়ারি পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য করেন ।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, কয়লা পাচার মামলায় সিবিআই আদালেত মোট তিনটি চার্জশিট জমা দিয়েছে। তাতে ৫০ জনের নাম আছে। তার মধ্যে অন্যতম অভিযুক্ত বিনয় মিশ্র এখনো ফেরার। তাকে সিবিআই ধরতে না পারায়, চার্জশিটে তাকে পলাতক দেখানো হয়েছে। শুনানি চলাকালীন একজন মারা গেছেন। যে কারণে সিবিআইয়ের পক্ষ থেকে মোট ৪৮ জনের নামে চার্জ গঠন করার কথা। এই মামলায় ১২ টি কোম্পানির নামেও চার্জ গঠন করা হয়েছে।