সন্তোষ কুমার মণ্ডল, আসানসোলঃ- কালীপুজোয় রান্না করতে এসে রাঁধুনি যুবকের কুয়োয় ঝাঁপ। ঘটনা আসানসোলের বারাবনি থানার ইটাপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত বালিয়াপুর চক্রবর্তী পাড়ার। মৃত যুবকের নাম তারক ওরফে পিন্টু দাস (৩৩)। সে ঝাড়খণ্ডের জামতাড়া জেলার বৃন্দাপাথরের মারালো গ্রামের বাসিন্দা।
জানা গেছে, ঝাড়খণ্ড থেকে ১৫ জনের একটি দল বারাবনি থানার ইটাপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের বালিয়াপুর চক্রবর্তী পাড়ায় প্রায় আড়াইশো বছরের পুরনো কালীপুজোয় রান্না করতে এসেছেন। রবিবার সেই দলে এসে যোগ দেন ঝাড়খণ্ডের জামতাড়া জেলার বৃন্দাপাথরের মারালো গ্রামের বাসিন্দা তারক ওরফে পিন্টু দাস। এক প্রত্যক্ষদর্শীর দাবি, সোমবার সকাল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ কুয়োতে স্নান করতে যান তারক। সেই সময় আচমকাই ওই যুবক কুয়োতে ঝাঁপ দেন। তার সঙ্গে থাকা অন্য জন সাহায্য়ের জন্য চিৎকার শুরু করেন। তার চিৎকারে অন্যরা ছুটে যান। সঙ্গে সঙ্গে খবর দেওয়া হয় দমকলে। দমকলের দুটি ইঞ্জিন কিছুক্ষণের মধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় এবং ওই যুবককে অচৈতন্য অবস্থায় উদ্ধার উদ্ধার করা হয়। সঙ্গে সঙ্গে তাকে আসানসোল জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
ওই যুবকের সঙ্গে রান্না করতে আসা জগন্নাথ দাস নামে এক ব্যক্তি জানান, রবিবারই ওই যুবক তাদের সঙ্গে যোগ দেন। সোমবার সকালে একজনের সঙ্গে সে কুয়োয় স্নান করতে যায়। তার সামনেই ওই যুবক কুয়োয় ঝাঁপিয়ে পড়ে।
এদিকে আচমকা ঘটে যাওয়া এই ঘটনার জেরে চাঞ্চল্য তৈরি হলেও পুজোয় কোনো বাধার সৃষ্টি হয়নি। নিয়ম মেনেই হয় পুজোর কাজ।
অন্যদিকে প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশের অনুমান, ওই যুবক কোন কারণে মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন। যে কারণে তিনি আত্মঘাতী হয়েছেন। পুলিশ আরও জানিয়েছে মৃতের পরিবারের তরফে কোন অভিযোগ দায়ের হয়নি।




















