eaibanglai
Homeএই বাংলায়মহাকুম্ভে স্নান করতে যাওয়ার পথে মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনা

মহাকুম্ভে স্নান করতে যাওয়ার পথে মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনা

সংবাদদাতা,আসানসোল- মহাকুম্ভে স্নান করতে যাওয়ার পথে মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল একই পরিবারের দুজনের। আহত হয়েছেন পরিবারের আরও ছ’জন। তাদের মধ্যে এক মহিলার অবস্থা আশঙ্কাজনক। মৃত ও আহতরা সকলেই বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরের অযোধ্যা গ্রামের বাসিন্দা। দুর্ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল রাতে, আসানসোলের কুলটিতে, ১৯ নম্বর জাতীয় সড়কে।

জানা গেছে বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরের অযোধ্যা গ্রাম থেকে একই পরিবারের আট জন একটি জায়লো গাড়িতে করে মহাকুম্ভে স্নান করার উদ্দেশ্যে প্রয়াগরাজ যাচ্ছিলেন। গতকাল রাতে খাওয়াদাওয়া সেরে তাঁরা বাঁকুড়া থেকে রওনা দেন। আসানসোল পেরিয়ে কুলটি চৌরঙ্গি মোড় ঢোকার আগেই তাঁদের গাড়িটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে।

আসানসোলের কুলটি থানার চৌরাঙ্গী ফাঁড়ির অন্তর্গত ১৯ নম্বর জাতীয় সড়কের ধানবাদ গামী রাস্তায়,চৌরাঙ্গী মোড়ের কাছে দুর্ঘটনাটি ঘটে। জানা গেছে গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি ট্রাকের পিছনে ধাক্কা মারে। দুর্ঘটনার জেরে গাড়িটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। গাড়িতে থাকা সকলেই আহত হন।

দুর্ঘটনার খবর পেয়ে চৌরাঙ্গী ফাঁড়ির পুলিশ ও কুলটি ট্রাফিক গার্ডের পুলিশ তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহত যাত্রীদের গাড়ি থেকে উদ্ধার করে আসানসোল জেলা হাসপাতালে পাঠায়। সেখানে দুজনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। মৃতরা হলেন শৈলেন বন্দ্যোপাধ্যায় (৬০)ও শান্তনু মুখোপাধ্যায় (৬৫)। এছাড়াও আহত হয়েছেন শান্তনু মুখোপাধ্যায় ছেলে সৌরভ মুখোপাধ্যায়, স্ত্রী মনসা মুখোপাধ্যায়, পুত্রবধু অনন্যা মুখোপাধ্যায় ৷ শৈলেন বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী রূম্পা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তাঁর এক নিকট আত্মীয় শিউলি কর্মকার ও গাড়ির চালক সোমনাথ চক্রবর্তী। 

অন্যদিকে যে লরিটির পিছনে গাড়িটি ধাক্কা মারে, সেটিকে পুলিশ আটক করেছে ৷ আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের এসিপি (কুলটি) জাভেদ হুসেন জানান, “গাড়ির গতি বেশি ছিল, তার জেরেই নিয়ন্ত্রণ হারায় ৷ তবে লরিটি রাস্তায় দাঁড়িয়ে ছিল কি না, পুলিশ তদন্ত করে দেখছে ।”

RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments