সন্তোষ কুমার মণ্ডল,আসানসোলঃ- আসানসোলের চৌরঙ্গী মোড়ের রামপুর এমভিআই চেকপোস্টে জরিমানার নামে দাদাগিরি ও তোলাবাজির অভিযোগ এমভিআই আধিকারিকদের বিরুদ্ধে। অভারলোডিংয়ের বাহানায় ৩২ হাজার টাকা জরিমানা দাবি করেও সাংবাদিকদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে ৬২০০ টাকা জরিমানা করে বোঝাপড়া সরকারি আধিকারিকদের। এমনই একটি ঘটনা সামনে এসেছে সম্প্রতি।
দিন চারেক আগে এমভিআই আধিকারিকদের চক্রান্তের শিকার হন এক ট্রাক চালক। জানা গেছে রাজস্থান থেকে মার্বেল বোঝাই করে নিয়ে আসছিলেন ওই ট্রেলার চালক খুরশিদ (ট্রেলার নম্বর আরজে ১৪ জিজি ১৭৫১)। চালকের খুরশিদের দাবি এমভিআই এর আধিকারিকেরা ৩ টন ওভারলোডিং কথা জানিয়ে ৩২ হাজার টাকা জরিমানা দাবি করেন। কিন্তু খুরশিদ তার গাড়িতে ওভারলোডিং নেই বলে পাল্টা চ্যালেঞ্জ করে গাড়ির ওজন করার কথা জানান। কিন্তু আধিকারিকরা তাতে রাজ হননি। পরে জরিমানার টাকা দিতে রাজি হন খুরশিদ, পাশাপাশি অতিরিক্ত যে ৩ টন সামগ্রীর জন্য জরিমানা দেওয়া হচ্ছে সেই সামগ্রী ফিরিয়ে দেওয়ার কথা জানান তিনি। কিন্তু তাতেও আধিকারিকরা রাজি হননি বলে অভিযোগ। শেষে স্থানীয় এক আইনজীবীর সাহায্য় নেন চালক খুরশিদ। কিন্তু অভিযোগ সেই আইনজীবার সাথেও দুর্ব্যবহার করেন এমভিআই আধিকারিকরা। অবশেষে স্থানীয় সাংবাদিকদের দ্বারস্থ হন খুরশিদ। সাংবাদিকরা যখন বিষয়টি নিয়ে খোঁজখবর শুরু করেন তখন চালকের কাছ থেকে ৬২০০ টাকা জরিমানা নিয়ে তড়িঘড়ি তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
এভাবে অবৈধভাবে অতিরিক্ত প্রায় ২৬ হাজার টাকা জরিমান করার পাশাপাশি তিনদিন ধরে পণ্যবাহী ট্রেলার আটকে রাখা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে এমভিআই আধিকারিকদের সততা ও ভূমিকা নিয়ে। চালক খুশিদের মতে, রাজ্য সরকারের এই লুটপাটের দিকে নজর দেওয়া উচিত যাতে ভিন রাজ্য থেকে আগত পণ্যবাহী গাড়ির চালকদের এভাবে হয়রানির ও হেনস্থার শিকার হতে না হয়। অভিযোগ শুধু সাম্প্রতিক এই ঘটনা নয়, দীর্ঘ দিন ধরেই রামপুর এমভিআই চেকপোস্টে হেনস্থা ও লুটপাটের শিকার হচ্ছেন ভিন রাজ্য থেকে আগত পণ্যবাহী গাড়ির চালক ও কর্মীরা। ট্রাক চালকদের দাবি তাদের কাছে এই চেকপোস্ট যেন বিভীষিকা হয়ে দাঁড়িয়েছে।





