সন্তোষ কুমার মণ্ডল,আসানসোলঃ- পাঁচ দিন ধরে মৃত স্বামীর দেহ আগলে বসে রইলেন বৃদ্ধা। প্রতিবেশীদের মারফত খবর পেয়ে দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। দম্পতি নিঃসন্তান হওয়ায় দেহ সৎকারের ব্যবস্থা করেন স্থানীয় কাউন্সিলর। মর্মান্তিক করুণ এই ঘটনাটি ঘটেছে আসানসোল দক্ষিণ থানার আপার চেলিডাঙ্গার নর্থ হিলভিউ পার্ক এলাকায়।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, আসানসোলের চেলিডাঙ্গার নর্থ হিলভিউ পার্কে নিজেদের বাড়িতে একাই থাকতেন অবসরপ্রাপ্ত ৯০ বছরের ত্রিদিব কুমার দাস শর্মা ও তার স্ত্রী তন্দ্রা দাস শর্মা (৮০)। গতকাল সকালের দিকে ওই বাড়ি থেকে দুর্গন্ধ বের হতে থাকলে সন্দেহ হয় প্রতিবেশীদের। তাঁরা আসানসোল দক্ষিণ (পিপি) থানায় খবর দেন। খবর পেয়ে পুলিশ ওই বাড়িতে পৌঁছয় ও প্রায় আধঘন্টার চেষ্টায় দরজা খুলিয়ে বৃদ্ধের পচাগলা মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য আসানসোল জেলা হাসপাতালে পাঠায়। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে জানা যায় অন্তত পাঁচ দিন আগে বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। পুলিশের মতে ম্ভবতঃ বয়সজনিত কারণে এবং একা থাকায় মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন বৃদ্ধা তন্দ্রা শর্মা। তাই স্বামীর মৃত্যুর খবর কাউকে না জানিয়ে তাঁর দেহ আগলে বলছিলেন। প্রতিবেশীদের সূত্রে জানা গেছে তিনি এক সময় স্কুলের শিক্ষিকাও ছিলেন।
অন্যদিকে পুলিশ ময়নাতদন্তের পর দেহ বৃদ্ধা তন্দ্রাদেবীর হাতে তুলে দিলেও দাস শর্মা দম্পতি নিঃসন্তান হওয়ায় ও কোনো আত্মীয় পরিজনের সঙ্গে যোগাযোগ না থাকায় মৃতদেহ সৎকার নিয়ে সমস্যা দেখা দেয়। শেষ পর্যন্ত স্থানীয় কাউন্সিলর ( আসানসোল পুরনিগমের ৪৯ নং ওয়ার্ড) শম্পা দাঁ বিষয়টি জানতে পেরে সাহায্য়ের হাত বাড়িয়ে দেন এবং নিজের উদ্যোগে জেলা হাসপাতালের মর্গের ডোমদের নিয়ে সেই দেহ সৎকারের ব্যবস্থা করেন।