সন্তোষ কুমার মণ্ডল,আসানসোলঃ- আসানসোল রেলের জমিতে বেআইনি দোকান সরালো আরপিএফ। কোনো রকম নোটিশ না দিয়েই উচ্ছেদের অভিযোগ জবরদখলকারীদের। যা নিয়ে আন্দোলনের হুমকি দিলেন তৃণমূল শ্রমিক নেতা।
প্রসঙ্গত বহুদিন ধরে আসানসোল পুরনিগমের সামনে রেলের জমিতে গড়ে উঠেছে বেশকিছু দোকানপাট। শুক্রবার রেলের তরফে ওই এলাকায় উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়। প্রথমে আরপিএফ জওয়ানরা এলাকার দোকানদারের সঙ্গে কথা বলে জিনিসপত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেন। পরে দোকান সরিয়ে রেলের জমি দখল মুক্ত করা হয়।
অন্যদিকে নোটিশ ছাড়া এভাবে উচ্ছেদের তীব্র প্রতিবাদ জানান দোকানীরা। তারা দাবি করেন কোনও নোটিশ ছাড়াই এদিন তাদের সরে যেতে বলা হয়। তাদের জীবিকা এই দোকানগুলির উপর নির্ভর করে। ফলে তারা অস্তিত্ব সংকটের মুখে পড়েছেন।
ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন স্থানীয় আইএনটিটিইউসি নেতা রাজু আলুওয়ালিয়া। তিনি জানান,পুনর্বাসন ছাড়া কাউকে সরিয়ে দেওয়ার অধিকার কারো নেই। তার দাবি কেন্দ্রীয় সরকার তথা বিশেষ করে রেল সম্পূর্ণরূপে অকর্মণ্য ও দেশ জুড়ে লুটপাট চালাচ্ছে। তিনি বলেন, “আমি আজ আসানসোলের বাইরে আছি। তাই শনিবার আসানসোলে ফিরে ,তীব্র আন্দোলন শুরু করবো।”
যদিও আসানসোল পুরনিগমের মেয়র পারিষদ রকেট চট্টোপাধ্যায় উচ্ছেদের পক্ষে সওয়াল করেছেন। তিনি বলেন,”রাস্তার পাশে দোকান করা দোকানদারদের বুঝতে হবে যে শহরের জনসংখ্যা ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে, যদি তারা রাস্তার পাশে স্থায়ী দোকান করে বসে পড়েন , তাহলে পাশ দিয়ে যাতায়াতকারী মানুষদের সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে। তাই তাদেরও জনগণের সমস্যা বোঝা উচিত।” তবে তিনি এও বলেন যে, “আমরা চাই না যে এই দোকানদাররা কোনও ক্ষতির সম্মুখীন হোন। কেননা তারা, এই দোকানগুলির মাধ্যমে আয় করছেন। তবে এই দোকানদারদেরও মানুষের সমস্যার কথা ভাবতে হবে।”
এই উচ্ছেদ অভিযান ঘিরে শাসক দলের নেতারা যে ভিন্ন মত পোষণ করছেন তা বলাই বাহুল্য। ফলে এই উচ্ছেদ অভিযানকে ঘিকে শাসক দলের অন্তরের বিরোধটিও প্রকাশ্যে চলে এসেছে।





