সন্তোষ কুমার মণ্ডল,আসানসোলঃ– দেনায় দায়ে জর্জরিত হয়ে কার্বলিক অ্যাসিড খেয়ে ও হাতের কব্জির শিরা কেটে আত্মহত্যার চেষ্টার অভিযোগ উঠল মা ও ছেলের বিরুদ্ধে। ঘটনায় মায়ের মৃত্যু হলেও গুরুতর জখম অবস্থায় চিকিৎসাধীন ছেলে। এমনকি ওই বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে তিনটি পোষ্য বিদেশি কুকুরকে মৃত দেহ। মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে আসানসোল হটন রোডের রাসডাঙ্গার সুমথপল্লী এলাকায়।
মৃত প্রৌঢ়ার নাম যুথিকা দাস (৬৮)। তাঁর ছেলের নাম অরবিন্দ দাস (৪০)। সোমবার রাতে ওই ঘটনাটি ঘটেছে বলে মনে করা হচ্ছে। মঙ্গলবার সকালে বিষয়টি জানাজানি হয়। তদন্তে নামে আসানসোল দক্ষিণ থানার। এদিন ঘটনাস্থলে পৌঁছন ডিসিপি ( সেন্ট্রাল) ধ্রুব দাস। তাঁর সাথে ছিলেন এসিপি ( সেন্ট্রাল) বিশ্বজিৎ নস্কর ও আসানসোল দক্ষিণ থানার ইন্সপেক্টর ইনচার্জ কৌশিক কুন্ডু। পুলিশ জানায়, সোমবার রাতে এই বাড়ির একটা ঘর থেকে পুলিশ মা ও ছেলেকে জখম ও অচৈতন্য অবস্থায় উদ্ধার করে। তাঁদের আসানসোল জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে মাকে চিকিৎসক পরীক্ষা করে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ছেলে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আপাততঃ পুলিশ একটি আত্মহত্যার প্ররোচনা দেওয়ার মামলা করে তদন্ত শুরু করেছে। পাশাপাশি ওই বাড়ির এক ভাড়াটিয়া মহিলাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। অভিযোগ দেনা শোধ করতে না পারায় বাড়ি লিখে দেওয়ার জন্য ওই ভাড়াটিয়া, বাড়িওয়ালা মা ছেলেকে চাপ দিচ্ছিলেন।
ডিসিপি ( সেন্ট্রাল) বলেন, “প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে, পারিবারিক ও আর্থিক দেনার সমস্যার কারণে এই ঘটনা ঘটেছে। সবকিছুই তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। বাড়ি থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হবে । তার জন্য ফরেনসিক দলকে ডেকে পাঠানো হয়েছে।”
সোমবার রাতেই বাড়িটি পুলিশ সিল করে দেয়। বাড়ির সামনে বসানো হয়েছে পুলিশ পাহারা।





