সন্তোষ কুমার মণ্ডল,আসানসোলঃ- দুর্গাপুরের এক তরুণীকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠল আসানসোলের হিরাপুর থানার চার যুবকের বিরুদ্ধে। ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে রাস্তা অবরোধে নামলেন আসানসোল দক্ষিণ বিধান সভার বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল। ঘটনাকে কেন্দ্র করে এদিন ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় আসানসোল দূর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের এসিপি ( সেন্ট্রাল ১) অফিস সংলগ্ন এলাকায়। যদিও পুলিশ অভিযোগ অস্বীকার করে দাবি করেছে ঘটনা চাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়নি। বরং পুলিশ স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে এই ঘটনার তদন্ত শুরু করছে। তবে শনিবার রাত পর্যন্ত ঘটনায় কেউ গ্রেফতার হয়নি। চার যুবকই ঘটনার পর থেকে পলাতক ।
অভিযোগ গত বৃহস্পতিবার অর্থাৎ ভ্যালেন্টাইন্স ডে’র আগের দিন বাঁকুড়ার বিহারীনাথ পাহাড়ে দুর্গাপুর থানা এলাকার বাসিন্দা ওই তরুণীকে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করা হয়। শুক্রবার ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসে। বর্তমানে দুর্গাপুরের ইএসআই হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে নির্যাতিতা কিশোরীর।
জানা গেছে কিশোরীর মামাবাড়ি বার্নপুরের প্রেমনগরে। গত তিন বছর ধরে সেখান থেকেই তিনি আসানসোল গার্লস কলেজে পড়াশুনা করছেন। তবে গত তিন-চার মাস ধরে তিনি দুর্গাপুরে নিজের বাড়িতেই থাকছিলেন৷ এরই মধ্যে গত বৃহস্পতিবার মামাতো বোনের ডাকে তিনি আবার বার্নপুরে যান। এবং মামার তিন মেয়ে এবং প্রতিবোশী চার যুবকের সঙ্গে বাঁকুড়ার শালতোড়ার বিহারীনাথ পাহাড়ে ঘুরতে যান। অভিযোগে সেখানে একটি হোটেলে নিয়ে গিয়ে মাদক জাতীয় কিছু খাইয়ে তরুণীকে গণধর্ষণ করা হয়।
অন্যদিকে আসানসোল দক্ষিণের বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল শনিবার বিকেলে দলের কর্মী সমর্থকদের নিয়ে আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের (সেন্ট্রাল জোন ১) অফিসের সামনের রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। তিনি অভিযাগ করেন পুলিশ প্রশাসন ধর্ষণের ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে। আগে পুলিশ বলেছিল যে ধর্ষণের কোনও ঘটনা ঘটেনি। পরে নিজে উদ্যোগ নিয়ে তিনি মহিলা থানায় ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করান।
একই সাথে, চার অভিযুক্তের মধ্যে একজনের বিজেপি নেতার সাথে সম্পর্ক রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এবিষয়ে প্রশ্ন করা হলে বিধায়ক বলেন, “কে কোন দলের সাথে যুক্ত তার সাথে বিজেপির কোনও সম্পর্ক নেই। বিজেপির দাবি, দোষীদের কঠোরতম শাস্তি দিতে হবে।
অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবিতে এদিন রাত পর্যন্ত বিজেপি কর্মী সমর্থকদের নিয়ে বিধায়াক রাস্তা অবরোধ করে রাখেন। যারা জেরে ওই রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। বিশাল পুলিশ বাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়।





