eaibanglai
Homeএই বাংলায়জাতীয় সড়কে ধস - প্রশাসনিক ত‍ৎপরতায় মেরামত করা হলো গভীর গর্ত

জাতীয় সড়কে ধস – প্রশাসনিক ত‍ৎপরতায় মেরামত করা হলো গভীর গর্ত

রামকৃষ্ণ চ্যাটার্জ্জী, আসানসোল, পশ্চিম বর্ধমান -: ধসের ফলে ঝাড়খণ্ড যাওয়ার পথে গারুই ব্রিজ এবং চন্দ্রচূড়ের মাঝামাঝি এনএইচ-১৯ রাস্তায় একটি গভীর গর্তের সৃষ্টি হয়। আসানসোল উত্তর ট্রাফিক পুলিশ থেকে ঘটনাটি জানার পর আসানসোলের মহকুমা শাসক (সদর) বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের যোগাযোগ করেন এবং গর্তটি দ্রুত মেরামতের নির্দেশ দেন। জাতীয় সড়কের ইঞ্জিনিয়াররা ঘটনাস্থলে পৌঁছে যুদ্ধকালীন তৎপরতার সঙ্গে স্থানটি মেরামত করে।

প্রসঙ্গত তখন ভোর ৫ টা। আসানসোল শিল্পাঞ্চলের অধিকাংশ মানুষের ভাল করে ঘুম ভাঙেনি। হঠাৎ প্রকাণ্ড বিস্ফোরণের শব্দে কেঁপে উঠল চারপাশ। ঘূমচোখে ঘর ছেড়ে বেরিয়ে এসে আতঙ্কিত এলাকাবাসী দেখে রঘুনাথবাটি এলাকায় কলকাতা-দিল্লি সংযোগকারী প্রধান সড়কে ভূমিধসের ফলে রাস্তার মাঝখানে ৬-৮ ফুট ব্যাসার্ধ জুড়ে তৈরি হয়েছে ২৫ ফুটেরও বেশি গভীর এক গর্ত। ফলে ব্যস্ত রাস্তায় যান চলাচল সম্পূর্ণরূপে ব্যাহত হয়ে যায় এবং সৃষ্টি হয় ব্যাপক যানজটের। দুর্ঘটনা এড়ানোর জন্য আসানসোল উত্তর ট্রাফিক গার্ডের পুলিশ এলাকাটি ঘিরে রেখেছে। এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।

দীর্ঘ সময় পরেও রাস্তার মাঝখানে তৈরি এই গর্তটি ভরাট না করার কারণে পণ্যবাহী ট্রাক থেকে শুরু করে অন্যান্য যানবাহন চলাচল প্রায় বন্ধ। যদিও কাজের তাগিদে কেউ কেউ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রাস্তা পারাপার করছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, ইসিএল কোম্পানি এই এলাকায় ভূগর্ভস্থ কয়লা উত্তোলন করলেও নিয়ম মেনে সেগুলি ভরাট করেনা। ফলে মাঝে মাঝেই এলাকায় এই ধরনের ধসের সৃষ্টি হয়। বর্ষাকালে ভূমিধসের ঘটনা একটু বেশি ঘটে থাকে। এরফলে অনেক সময় সাধারণ মানুষের বসত বাড়ি মাটিতে মিশে যায়। ইসিএল কর্তৃপক্ষের কাছে এলাকাবাসীর দাবি, ভূগর্ভস্থ কয়লা উত্তোলনের পর সৃষ্ট খাদগুলি বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে ভরাট করতে হবে।

RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments