সন্তোষ কুমার মণ্ডল,আসানসোলঃ- বর্ষার মরশুমে নদী থেকে বালি তোলার উপরে সরকারি নিষেধাজ্ঞা জারি রয়েছে। কিন্তু তা উপেক্ষা করেই আসানসোল শিল্পাঞ্চল জুড়ে দামোদর ও অদয় নদ থেকে চলছে অবাধে বালি তোলার অবৈধ কারবার। অভিযোগ সরকারি নিষেধাজ্ঞাকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে এক শ্রেণির অবৈধ বালি কারবারি ও মাফিয়া বালি পাচার করছে। অবৈধ বালি পাচারের খবর পেয়ে অবশেষে তৎপরতা দেখাল পুলিশ।
মঙ্গলবার গভীর রাত্রে ডিসিপি (সেন্ট্রাল) ধ্রুব দাসের নেতৃত্বে এসিপি (সেন্ট্রাল ১) বিশ্বজিৎ নস্কর, সেন্ট্রাল (২) বিমান কুমার মির্ধা, রানিগঞ্জ থানার নিমচা ফাঁড়ির আইসি সহ পুলিশ বাহিনী আসানসোল দক্ষিণ থানার ডামরায় দামোদরের দুটি ঘাটে অতর্কিতে হানা দেন। সেই সময় সেখানে নৌকায় করে বালি কেটে সেই বালি পাচার করার তোড়জোড় করা হচ্ছিলো। অবৈধভাবে বালি বোঝাই করা ১১ টি ট্রাক্টার আটক করার পাশাপাশি বালি পাচার করার সঙ্গে যুক্ত থাকা আটজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে বালি বোঝাই ১১টি ট্রাক্টর ও ধৃত ৮ জনকে আসানসোল দক্ষিণ থানার পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। ধৃত ৮ জনকে এদিন আসানসোল জেলা আদালতে পেশ করে পুলিশ।
অন্যদিকে এদিন সালানপুরেও বালির অবৈধ পাচার রুখতে অভিযান চালায় পুলিশ এবং বারাবনি থানার পানুরিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের হোসেনপুর গ্রামে হানা দিয়ে তিনটি বালি বোঝাই ট্রাক আটক করে। জানা গেছে হোসেনপুর গ্রামে অজয় নদ থেকে বালি তুলে চোরাই পথে একটি খোলা জায়গায় মজুত করেও রাখা হয়েছিলো। পুলিশের তরফে খবর দেওয়া হয় বারাবনি ব্লকের বিএলআরও দপ্তরে। বুধবার সকালে বারাবনি বিএলআরও দপ্তরের আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে চোরাই বালি বাজেয়াপ্ত করে। অন্যদিকে তিনটে বালি ট্রাককে ১ লক্ষ টাকা করে ফাইন করা হয়।
বালি পাচার রুখতে আগামীদিনেও এই অভিযান চলবে বলে জানিয়েছে পুলিশ। যদিও পুলিশের এই অভিযান নিয়ে সন্তুষ্ট নয় বিরোধী দলগুলি। বিজেপির রাজ্য কমিটির নেতা কৃষ্ণেন্দু মুখোপাধ্যায় এদিন দাবি করেন, তৃণমুল কংগ্রেসের নেতা ও পুলিশের যোগসাজশে অবৈধ বালি কারবার চলছে শিল্পাঞ্চলজুড়ে।





