eaibanglai
Homeএই বাংলায়স্কুলে পড়ুয়াদের দিয়ে শৌচালয় পরিষ্কার ও ঝাঁট দেওয়ানোর অভিযোগ

স্কুলে পড়ুয়াদের দিয়ে শৌচালয় পরিষ্কার ও ঝাঁট দেওয়ানোর অভিযোগ

সন্তোষ কুমার মণ্ডল,আসানসোলঃ– প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সরকারি অনুমোদন ছাড়াই বেআইনিভাবে বাড়তি টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠল। শুধু তাই নয় অভিযোগ যে সমস্ত পড়ুয়ারা টাকা দিতে পারেনা তাদের দিয়ে বিদ্যালয়ের শৌচালয় পরিষ্কার ও স্কুল চত্বর ঝাঁট দেওয়ানো হয়। গুরুতর এই অভিযোগটি উঠে এসেছে আসানসোল পুরনিগমের ৯৮ নম্বর ওয়ার্ডের বার্নপুরে ধরমপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা অর্চনা কুমারীর বিরুদ্ধে।

জানা গেছে, গত কয়েক মাস ধরে ওই প্রাথমিক স্কুলের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ উঠছে। এমনকি মাস কয়েক আগে ওই স্কুলেরই সহকারী শিক্ষক ও অভিভাবকরা প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ এনে পশ্চিম বর্ধমান জেলা প্রশাসন ও শিক্ষা দপ্তরে চিঠিও লিখেছিলেন। এরই মধ্যে গতকাল প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে এক ছাত্রীকে স্কুল ঝাঁট দেওয়ানোর অভিযোগ পেয়ে স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর কাহাকাশা রিয়াজ কয়েকজন অভিভাবককে নিয়ে স্কুলে পৌঁছন। কিন্তু প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে ওঠা নানা অভিযোগ নিয়ে তার সঙ্গে কথা বলতে গেলে দুজনের মধ্যে বাদবিবাদ শুরু হয়ে যায়। প্রধান শিক্ষিকার সঙ্গে বাদবিবাদে জড়িয়ে পড়েন অভিভাবকরাও। কাউন্সিলারের সঙ্গে প্রধান শিক্ষিকা দুর্ব্যবহারও করেন বলেও অভিযোগ ওঠে। এমনকি অভিযোগকারী এক পড়ুয়াকে স্কুল থেকে বার করে দেওয়া হয়। পরিস্থিতি ক্রমশ উত্তপ্ত ওয়ে উঠলে হীরাপুর থানার পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়।

অভিভাবকদের অভিযোগ, ওই স্কুলে ভর্তি থেকে, পোষাক, জুতো, এমনকি সাফাইয়ের জন্য টাকা চাওয়া হয়। সেই সঙ্গে মিড ডে মিল নিয়েও স্কুলে বিস্তর গরমিল চলছে বলে অভিযোগ। যদিও স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা তার বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তবে এই বিষয়ে সংবাদ সামধ্যের কাছে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি তিনি।

অন্যদিকে, এই প্রসঙ্গে পশ্চিম বর্ধমান জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান রথীন্দ্রনাথ মজুমদার জানান, ওই স্কুল নিয়ে অনেক অভিযোগ এসেছে। গুরুত্ব সহকারে অভিযোগ গুলি দেখা হচ্ছে। স্কুল পড়ুয়াদের কাছে থেকে টাকা নেওয়ার কথা নয়। তাও কেন, নেওয়া হচ্ছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments