জ্যোতি প্রকাশ মুখার্জ্জী, আসানসোল, পশ্চিম বর্ধমান -: এতদিন কল্যাণেশ্বরীতে ছিলনা কোনো উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়। মাধ্যমিক পাশ করার পর উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে ভর্তির জন্য ছাত্রছাত্রীদের আছড়া, চিত্তরঞ্জন, আসানসোল, কুলটির মতো এলাকায় যেতে হতো। দূরত্বের জন্য সময় ও অর্থ অপচয়ের পাশাপাশি ভর্তি সংক্রান্ত সমস্যা ছিল। মেয়েরা তো চরম বিপাকে পড়ত। মাধ্যমিকের পরেই অনেকের পড়াশোনা বন্ধ হয়ে যেত। এলাকাবাসীর দাবি ছিল তাদের প্রিয় কল্যাণেশ্বরী হাই স্কুলকে উচ্চমাধ্যমিক স্কুলে রূপান্তরিত করা। অবশেষে বারাবনি বিধায়ক তথা আসানসোলের মেয়র বিধান উপাধ্যায়ের হাত ধরে তাদের সেই স্বপ্ন পূরণ হয়। খুশির হাওয়া বয়ে যায় ছাত্রছাত্রী ও অভিভাবক মহলে।
ছাত্রছাত্রী, অভিভাবক, স্থানীয় বাসিন্দা ও বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষিকাদের উপস্থিতিতে একটি ছোট্ট অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে বিধায়কের হাত ধরে কল্যাণেশ্বরী হাই স্কুল উচ্চ মাধ্যমিক স্কুল রূপে পথ চলা শুরু করে। হাততালির মধ্যে দিয়ে ফিতে কেটে ও প্রদীপ প্রজ্বলিত করে তিনি অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করেন। একাদশ শ্রেণীতে ভর্তি হওয়া ৩৫ জন ছাত্রছাত্রীর হাতে বই খাতা তুলে দেন বিধায়ক।
ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী থাকতে পেরে প্রত্যেকেই খুব খুশি। তাদের উচ্ছ্বাস ছিল চোখে পড়ার মতো। তারা বিধায়কের অক্লান্ত পরিশ্রমের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
মেয়র ছাড়াও উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সালানপুর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি মহম্মদ আরমান, সহ-সভাপতি ভোলা সিং, সালানপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি কৈলাসপতি মন্ডল, সহ-সভাপতি বিদ্যুৎ মিশ্র, সালানপুর থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক অমিত হাটি সহ আরও অনেক গণ্যমান্য ব্যক্তি।
জনৈকা ছাত্রী বললেন- উচ্চ মাধ্যমিক পড়ার জন্য আর আমাদের দূরে যেতে হবেনা এটা ভেবেই খুব আনন্দ। তাছাড়া নিজেদের স্কুলে পড়ার সুযোগ পেয়ে আমরা খুব খুশি। আমরা আরও মনোযোগ দিয়ে পড়াশোনা করতে পারব।
অন্যদের কণ্ঠে একই উৎসাহ ধরা পড়ে। জনৈক অভিভাবক বললেন- পড়াশোনার জন্য ছেলেমেয়েদের পড়াশোনার দূরে পাঠিয়ে তারা বাড়ি না ফেরা পর্যন্ত খুব চিন্তা হতো। এবার সেই চিন্তা দূর হলো। আমরা বিধায়কের কাছে কৃতজ্ঞ।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বিধায়ক বললেন- মূলত তার জন্যেই এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের চাহিদা পূরণ হলো। এরফলে ছাত্রছাত্রীরা তাদের ভবিষ্যৎ গড়তে অনেক বেশি সুযোগ পাবে। তাদের সময় ও অর্থ বাঁচবে।





