সন্তোষ কুমার মণ্ডলঃ- পশ্চিম বর্ধমান জেলায় সম্প্রতি পাঁচ জন সিলিকোসিস আক্রান্তের হদিস মিলেছে। এছাড়াও এই রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে দুজনের। এপরই সিলিকোসিসের সংক্রমণ রুখতে নড়েচড়ে বসে জেলা প্রশাসন। গত বুধবার জেলাশাসকের দফতরে সিলিকোসিস রোধে বৈঠক করেন জেলাশাসক এস পান্নাবলম। যেখানে ইস্কো, ইসিএল, রেলের আধিকারিক ও বিভিন্ন বেসরকারি কারখানার মালিকেরা উপস্থিত ছিলেন।
সম্প্রতি অভিযোগ উঠেছিল, সিলিকোসিস চিহ্নিতকরণের জন্য স্বাস্থ্য দফতর যে শিবিরগুলি আয়োজন করে, সেখানে স্বাস্থ্যপরীক্ষা করানোর জন্য শ্রমিকদের যেতে বাধা দিচ্ছেন কারখানার অধিকারিকেরা। এদিনের বৈঠকে সেই বিষয়ে আলোচনার পাশাপাশি শিল্প-সংস্থার কর্ণধারদের প্রশাসনিক নির্দেশ পালনের কথা জানানো হয়েছে বলে জানা গেছে। এমনকি কোনও গাফিলতি হলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও জানানো হয়েছে।
অন্যদিকে এ দিন বৈঠকে উপস্থিত সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার আধিকারিক ও মালিকেরা, বৈঠকে নেওয়া সিদ্ধান্তগুলিও মেনে চলার আশ্বাস দিয়েছেন।
প্রশাসন সূত্রের খবর, এখনও পর্যন্ত সালানপুর ব্লকের বরাভুঁই ও রামডি গ্রামে সিলিকোসিস আক্রান্তের হদিস মিলেছে। এলাকায় বেশ কিছু পাথর কল ও পাথর খাদান রয়েছে। সেখান থেকেই এই রোগ ছড়াচ্ছে বলে জানা গেছে। প্রশাসনের দাবি, সালানপুর ছাড়া এখনও পর্যন্ত অন্য কোনও এলাকায় সিলিকোসিসে আক্রান্ত রোগীর হদিশ মেলেনি। ইতিমধ্যে জেলার বিভিন্ন ব্লকে আক্রান্তদের চিহ্নিত করতে শিবির করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য সিলিকোসিস একটি দীর্ঘমেয়াদী ফুসফুসের রোগ। সাধারণত মিহি ধুলো কণা বা সিলিকা শ্বাস প্রশ্বাসের মাধ্যমে ফুসফুসে প্রবেশ করে ফুসফুসকে সংক্রমণ করে, যার ডাক্তারি পরিভাষে সিলিকোসিস। পাথর খাদান বা পাথর কাটার কারখানায় কর্মরত শ্রমিকরাই মূলত এই রোগে আক্রান্ত হন।





