সন্তোষ কুমার মণ্ডল,আসানসোলঃ- বিশেষ নিবিড় সংশোধনী (এসআইআর) সংক্রান্ত শুনানি প্রক্রিয়া চলছে রাজ্য জুড়ে। সোমবার ছিল শুনানির তৃতীয় দিন। আর এদিন থেকেই সরাসরি সংঘাত শুরু হয়েছে শাসকদল তৃণমূল এবং নির্বাচন কমিশনের। তৃণমূলের দাবি, শুনানিকেন্দ্রে বিএলএ-২ অর্থাৎ, বুথস্তরের এজেন্টদের থাকতে দিতেই হবে। অন্যদিকে কমিশন তা মানতে নারাজ। সোমবার এই নিয়ে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় শুনানিকেন্দ্রে বিক্ষোভ ও অশান্তির খবর মিলিছে।
এদিকে পশ্চিম বর্ধমান জেলার আসানসোলেও শাসক দল ও নির্বাচন কমিশনের সংঘাতের বিষয়টি সামনে এসেছে। আসানসোল দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রের মানুষের জন্য চারটি শুনানি কেন্দ্র করা হয়েছে। এর মধ্যে একটি হল আসানসোল পিএইচই দপ্তরের সেন্টার। যেখানে সোমবার শুনানি চলাকালীন পৌঁছন আসানসোল পুরনিগমের বোরো চেয়ারম্যান তথা আসানসোল দক্ষিণ ব্লক ( শহর) সহসভাপতি ডাঃ দেবাশীষ সরকার, রানিগঞ্জের প্রাক্তন বিধায়ক সোহরাব আলি সহ বেশ কয়েকজন তৃণমূল কাউন্সিলর ও দলের নেতা ও কর্মীরা। কিন্তু কাউকেই শুনানিকেন্দ্রের ভেতরে যেতে দেওয়া হয়নি। এরপর তাঁরা শুনানি কেন্দ্রের
গেটের সামনে স্লোগান দিয়ে বিক্ষোভ দেখান।
তাঁরা অভিযোগ করেন, কোন গেজেট নোটিফিকেশন না করে, নির্বাচনের মতো কোড অফ কনডাক্ট কার্যকর করে জোরজার চালাচ্ছে কমিশন। কোন রকম লিখিত নির্দেশ ছাড়াই বিএলএ ২ দের শুনানি বা হিয়ারিং কেন্দ্রে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না।
এই প্রসঙ্গে ডাঃ দেবাশীষ সরকার বলেন, ” বিএলএ-২ যদি এসআইআরের প্রথম পর্যায়ে ইনুমেরেশন বা গণনার ফর্ম দেওয়ার সময় বিএলওর সাথে ঘরে ঘরে যেতে পারেন, তাহলে শুনানির সময় তারা এখানে কেন উপস্থিত থাকতে পারবেন না? এটা কোন ধরনের নিয়ম? এটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। এই প্রক্রিয়াটি কেবল মাত্র সাধারণ মানুষদের হয়রানি করার জন্য করা হচ্ছে।” তিনি আরও জানান, এই সংক্রান্ত লিখিত নির্দেশ দেখাতে বলা হলে তা দেখাতে পারেননি কমিশনের আধিকারিকরা।
অন্যদিকে রানিগঞ্জের প্রাক্তন বিধায়ক সোহরাব আলি বলেন, “শুনানি প্রক্রিয়াটি যেভাবে চলছে তাতে জনগণ অনেক সমস্যায় পড়ছেন। কিন্তু এর সাথে জড়িয়ে এমন কিছু করা হচ্ছে, যার সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের কোনও সম্পর্ক নেই।

















