eaibanglai
Homeএই বাংলায়আসানসোলের পরিবহন দপ্তরের চার আধিকারিকের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা

আসানসোলের পরিবহন দপ্তরের চার আধিকারিকের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা

সন্তোষ কুমার মণ্ডল,আসানসোলঃ- আসানসোলের কুলটি থানার চৌরঙ্গী মোড়ের কাছে জাতীয় সড়ক সংলগ্ন পরিবহন দপ্তরের অফিসের আধিকারিকদের বিরুদ্ধে বহুদিন ধরেই দুর্নীতির অভিযোগ উঠছিল। কখনো গাড়ি চালকদের মারধোর তো, কখনো তাদের কাছে কাগজ কেড়ে নিয়ে নিয়ে রসিদ দেওয়া হয় না, এমন একাধিক অভিযোগ। এবার ওই পরিবহন দপ্তরের চার আধিকারিকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হল আদালতে।

আইনজীবী বীরেন্দ্র কুমার সিং জানান, দিন কয়েক আগে একটি লরিকে মাঝরাস্তায় দাঁড় করায় পরিবহন দপ্তরের বেশ কয়েকজন আধিকারিক এবং চালকের কাছ থেকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা দাবি করে। সেই টাকা চালক দিতে অস্বীকার করলে তার কাছ থেকে গাড়ির কাগজপত্র নিয়ে নেওয়া হয় । এরপর পরিবহন দপ্তরের পার্কিংয়ে ঢুকিয়ে দেওয়া হয় লরিটিকে। এরপর গাড়ি মালিক তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান তার গাড়িতে অতিরিক্ত কোন পণ্য নেই। তাও যদি অতিরিক্ত পণ্যের জন্য জরিমানা করা হচ্ছে তাহলে অতিরিক্ত পণ্য সহ গাড়ি ফেরত দেওয়া হোক। কিন্তু তারপরেও সমাধান সূত্র না বেরোনোয় গাড়ি মালিক আইনজীবী বীরেন্দ্র কুমার সিংকে গোটা বিষয়টি জানান। বীরেন্দ্র কুমার সিং ঘটনাস্থলে গেলে তাকে ধাক্কাধাক্কি করা সহ অকথ্য ভাষা ব্যবহার করা হয় বলে অভিযোগ। এরপরে গোটা ঘটনাটি আইনজীবী রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় , রাজ্যের পরিবহন দপ্তর, আসানসোল দুর্গাপুরের পুলিশ কমিশনারকে লিখিত ভাবে জানান এবং বৃহস্পতিবার আসানসোল আদালতে চার পরিবহন দপ্তরের আধিকারিকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। আইনজীবীর দাবি আদালত যোগ্য ব্যবস্থা নেবে, সেই আশাতেই আদালতের দ্বারস্থ হয়েছি।

প্রসঙ্গত,কুলটির চৌরঙ্গী এলাকা দিয়ে যাতায়াত করা চালকদের অভিযোগ, বাইরের রাজ্য থেকে গাড়ি এলেই তাদের আটকে জোর করে জরিমানা করা হয়। অথচ মেলে না কোনো রসিদ। জোর করে গাড়ি পার্কিংয়ে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। এমনকি অনেক সময় চালক ও লরি কর্মীদের মোবাইলও ছিনিয়ে নেওয়া হয় বলে অভিযোগ। চালকদের দাবি সবাই সব কিছু জানে কিন্তু কেউ কিছুই করে না।

অন্যদিকে বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট পরিবহন দপ্তরের জেলা আধিকারিকদের কোন প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায় নি। তবে সরকারি আধিকারিকদের বিরুদ্ধে আইনজীবীর করা মামলায় শোরগোল পড়েছে আসানসোল শিল্পাঞ্চলে।

যদিও পশ্চিম বর্ধমান জেলার এডিএম (জেনারেল) সুহাসিনী ই-র কাছে জানতে চাওয়া হলে তনি বলেন, “সরকারকে টাকা দিলে তার রসিদ পাওয়া যাবেই। যদি এই রকম কোনো অভিযোগ থাকে লিখিতভাবে জানালে তদন্ত করবে প্রশাসন।”

RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments