সন্তোষ কুমার মণ্ডল,অন্ডালঃ- ছটপুজো উপলক্ষ্যে দুদিন বন্ধ রাখতে হবে মাছ মাংসের দোকান। গত রবিবার পশ্চিম বর্ধমান জেলার অন্ডালে বাজারে এই ফতোয়া জারি করে বিজেপি। যা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা বিতর্ক। এছাড়াও বিভিন্ন মহল থেকে উঠে প্রতিবাদের ঝড়। সোমবার বিজেপির এই ফতোয়ার প্রতিবাদে পথে নেমে বিক্ষোভ দেখায় দুই রাজনৈতিক দল তৃণমূল, সিপিএমের যুব সংগঠন। এছাড়াও বিক্ষোভে সামিল হয় বাঙালি ও বাংলা ভাষা নিয়ে কাজ করা সামাজিক সংগঠন বাংলাপক্ষ।
জানা গেছে, রবিবার সকালে অন্ডাল উত্তর বাজারে কয়েকজন বিজেপি কর্মী সমর্থক ছটপুজোর জন্য দু’দিন মাছ ও মাংসের দোকান বন্ধ রাখার কথা বলে দোকানদারদের । অভিযোগ দোকানদাররা তাতে রাজি না হওয়ায় তাদের হুমকি দেওয়া হয়। অন্যদিকে বিজেপির এই ফতোয়ার কথা ছড়িয়ে পড়তেই এলাকায় উত্তেজনা ও চাঞ্চল্য় ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। এবং কেউ জোর করে দোকান বন্ধের চেষ্টা করলে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়।
অন্যদিকে ওই ফতোয়ার বিরোধীতায় সরব হয় তৃণমূল, সিপিএম এবং বাংলা পক্ষ। সোমবার সকালে বাম, তৃণমূলের যুব সংগঠনের পাশাপাশি বাংলা পক্ষের সদস্যরাও বাজারে পৌঁছন এবং এলাকার মাছ, মাংসের দোকান খোলার ব্যবস্থা করেন। যদিও তৃণমূল ও বাম সমর্থকদের পাল্টা স্লোগান ঘিরে সাময়িক উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। পরে পুলিশ দুপক্ষকে দুরে সরিয়ে দেয়।
এই প্রসঙ্গে তৃণমূল যুব নেতা শুভজিৎ কুন্ডু বলেন,”বাংলা সম্প্রীতি জায়গা । বিজেপি সেই সম্প্রীতি নষ্ট করার চেষ্টা করছে । বাংলায় এইসব বরদাস্ত করার হবে না।” সিপিএম নেতা তুফান মন্ডল বলেন, “সম্প্রতি নষ্ট করার মূলে রয়েছে বিজেপি ও তৃণমূল। তারাই যোগসাজশে এরকম ঘটনা ঘটাচ্ছে।” বাংলাপক্ষ সংগঠনের পক্ষে অক্ষয় বন্দোপাধ্যায় বলেন, “উত্তরপ্রদেশ ও বিহারের মতো পরিবেশ তৈরি করার চেষ্টা হচ্ছে এখানেও। যেখানেই বাংলা এবং বাঙালির সংস্কৃতির বিরুদ্ধে অপচেষ্টা হবে আমরা সেখানেই রুখে দাঁড়াবো।”
তবে এদিন এলাকায় দেখা যায়নি কোন বিজেপি নেতা কর্মী বা সমর্থককে। যদিও বিজেপির মন্ডল সভাপতি রাখালচন্দ্র ঘোষ দাবি করেন, তাঁরা কাউকে দোকান বন্ধের জন্য জোর করেননি, অনুরোধ করেছিলেন মাত্র । তৃণমূল সিপিএম বিষয়টা নিয়ে অযথা রাজনীতি করছে।

















