সংবাদদাতা,আসানসোলঃ– আসানসোলে বাংলা ঝাড়খণ্ড সীমান্তের রূপনারায়াণপুর টোল প্লাজাটি পরিচালনার ক্ষেত্রে গুরুতর দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ বিনা টেন্ডারেই চালানো হচ্ছে ওই টোল প্লাজা এবং টোল থেকে টাকাও তোলা হচ্ছে । একই ব্যক্তি বা সংস্থা প্রায় ১০বছরের সময় ধরে চালাচ্ছে টোল প্লাজা। যদিও আর টি আই করে জানা গেছে ২০১৪ এর পর নতুন কোনো টেন্ডার বা রিনিউলের কোনো তথ্য নেই সরকারের কাছে।
অন্যদিকে বিরোধীদের দাবি টোল প্লাজাটি জেলা পরিষদ দ্বারা পরিচালিত, আর জেলা পরিষদ শাসক দল দ্বারা পরিচালিত। অতএব এই দুর্নীতির সঙ্গে শাসক দলের নেতারাই জড়িত। তাদের আর্শীবাদেই রিনিউল না করেই একই ব্যক্তি বা সংস্থা দীর্ঘ প্রায় দশ বছর ধরে টোল প্লাজা চালিয়ে যাচ্ছে।
এ বিষয়ে উক্ত এলাকার বিধায়ক বিধান উপাধ্যায়কে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, তিনি বিষয়টি শুনেছেন। কিন্তু যেহেতু জেলা পরিষদের বিষয় তাই তিনি এ বিষয়ে নাক গলাননি। তবে তিনি জেলা সভাধিপতির কাছে বিষয়টি জানবেন। কারণ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সচ্ছতার প্রতীক। সে জায়গায় কোনো দুর্নীতি মেনে নেওয়া যাবে না। অপর দিকে জেলা পরিষদের কর্মাধক্ষ মহম্মদ আরমানের কাছে এবিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, “কিছু নিয়ম নিশ্চই আছে এক্সটেনশন করার। তবে উক্ত ব্যক্তি বা সংস্থার সরকারের কাছে টাকা বাকি আছে। যা নিয়ে মাঝে মধ্যেই জেলা পরিষদ থেকে নোটিশ করা হয়। তখন কিছু কিছু টাকা জমা করে টোল কর্তৃপক্ষ।” যদিও বিষয়টিকে গুরুত্ব সহকারে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন জেলা পরিষদের মেন্টর ভি শিবদাসন দাসু। তিনি বলেন, “কার নামে টেন্ডার আর কে টোল চালাচ্ছে, আর কারই বা পিছনে হাত রয়েছে তা তিনি খতিয়ে দেখবেন। কারণ এই টেন্ডার না হবার বিষয়টা তার বহুবছর ধরেই জানা। কিন্তু যেহেতু জেলা পরিষদের বিষয় তাই তিনি জেনেও চুপ ছিলেন। তবে এবার তিনি মেন্টর। বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করবেন এবং দুর্নীতি পাওয়া গেলে ব্যবস্থাও নেবেন।”
তবে এই প্রসঙ্গে জেলা সভাধিপতি বিশ্বনাথ বাউরি জানান, জেলা ভাগ হবার ফলে তাদের কাছে সম্পূর্ণ তথ্য নেই। তবে নতুন টেন্ডার না করা হলেও প্রতি বছর ১০%করে বাড়িয়ে ওই টোল প্লাজার এক্সটেনশন দেওয়া হয়।
কিন্তু প্রশ্ন উঠছে প্রায় ১০বছর ধরে বিনা টেন্ডারে একই ব্যক্তি বা একই কোম্পানি এইভাবে টোল চালাতে পারে ? প্রথম টেন্ডার ছাড়া সরকারের কাছে আর কোনো ফ্রেশ টেন্ডার বা রিনিউলের তথ্য নেই কেন ? বছর বছর টেন্ডার না করে টোল চলায় সরকারি রাজস্বের ক্ষতি হচ্ছে না তো? এমনই সব প্রশ্ন সামনে এনে আন্দোলনে নামার ও জনস্বার্থ মামলা করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন স্থানীয় অভিযোগকারী গোবর্ধন মণ্ডল। গোবর্ধনবাবু জানান দীর্ঘদিন ধরে বহু সরকারি দপ্তরে অভিযোগ জানিয়েও কোনো লাভ হয়নি। এখন দেখার প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নেয় কিনা।