eaibanglai
Homeএই বাংলায়আরপিএফ ও পুলিশের কড়া নজরদারিতে আসানসোল থেকে ছাড়লো মহাকুম্ভ স্পেশাল ট্রেন

আরপিএফ ও পুলিশের কড়া নজরদারিতে আসানসোল থেকে ছাড়লো মহাকুম্ভ স্পেশাল ট্রেন

সন্তোষ কুমার মণ্ডল,আসানসোলঃ- দিল্লির ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে রেলের সুবন্দোবস্ত। আরপিএফ ও পুলিশের কড়া নজরদারিতে আসানসোল থেকে পূর্ণ্যার্থীদের নিয়ে ছাড়লো মহাকুম্ভ স্পেশাল ট্রেন।

দিল্লি স্টেশনে পদপিষ্ট হওয়ার ঘটনার পরদিনই আসানসোল স্টেশনেও একই রকম ঘটনার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিলো। তাই যাতে দিল্লির ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হয় তার জন্য আগে থেকেই প্রস্তুতি নিয়েছিল আরপিএফ ও পুলিশ। পাশাপাশি দুর্ঘটনা এড়াতে রেলের তরফে করা হয়েছিলো সবরকম বন্দোবস্ত। উপস্থিত ছিলেন পুলিশ ও রেলের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। এরকমই বন্দোবস্তর মধ্য দিয়ে মঙ্গলবার দুপুরে আসানসোল স্টেশন থেকে প্রয়াগরাজ মহাকুম্ভের উদ্দেশ্যে রওনা দিলো মহাকুম্ভ স্পেশাল ট্রেন।

মহাকুম্ভ স্পেশাল ট্রেন হলেও তা আসানসোল থেকে যাবে টুন্ডলা পর্যন্ত। ট্রেনটি আসানসোল থেকে ছাড়ার পূর্ব নির্ধারিত সময় ছিলো সকাল সোয়া এগারোটা। কিন্তু ব্যাঙ্গালুরু থেকে আসা ট্রেনটি জসিডিতে দেরিতে পৌঁছায়। যে কারণে প্রায় সোয়া দু’ঘন্টা দেরিতে দুপুর দেড়টার সময় আসানসোল স্টেশন থেকে ছাড়ে ট্রেনটি। সবমিলিয়ে ট্রেনটিতে ২২ টি কামরা আছে। তার মধ্যে ১৯ টি যাত্রী কামরা। জেনারেল কামরা আছে ৪টি। বাকিগুলি স্লিপার ও শীততাপনিয়ন্ত্রিত। এদিন দুপুরে আসানসোল থেকে যখন ট্রেনটি ছাড়ে তখন তাতে অসংরক্ষিত কামরায় যাত্রী সংখ্যা ছিলো ৩৫০ জন। এছাড়াও সংরক্ষিত কামরায় যাত্রী ছিলো আরো তিনশোর মতো। রেলের তরফে জানানো হয়, মোট ৯৬৮ জনের টিকিট এই ট্রেনে রিজার্ভড রয়েছে।

এই বিষয়ে এদিন আসানসোল ডিভিশনের এডিআরএম প্রবীণ কুমার প্রেম বলেন, “যাত্রীদের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে আসানসোল ডিভিশনের পক্ষ থেকে সব ধরণের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। যাত্রীদের জন্য একটি হোল্ডিং এরিয়া তৈরি করা হয়েছিলো। যেখান থেকে যাত্রীদেরকে লাইন করে প্ল্যাটফর্মে নিয়ে যাওয়া হয় ও যাত্রীদের পর্যায়ক্রমে ট্রেনে তোলা হয়। এছাড়াও স্টেশনের মেন গেটের বাইরে যাত্রীদের জন্য অস্থায়ী শেড তৈরি করা হয়েছিলো। ছিলো সিসি ক্যামেরার নজরদারিও। কোনও যাত্রী যাতে কোনও সমস্যার সম্মুখীন না হন সেজন্য অতিরিক্ত জিআরপি ও আরপিএফ জওয়ান মোতায়েন ছিল। সহযোগিতায় ছিলেন আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের আধিকারিকরাও।”

অন্যদিকে রেলের এই সুব্যবস্থায় খুশি যাত্রীরা জানান, কোনওরকম সমস্যা ছাড়াই তারা প্রয়াগরাজের ট্রেনে উঠতে পেরেছেন। তার জন্য আসানসোল ডিভিশনের আধিকারিকদের ধন্যবাদ জানালেও ট্রেন বিহারে ঢোকার পর কি পরিস্থিতি হবে তা নিয়েও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন অনেকে।

RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments