সংবাদদাতা,আসানসোলঃ– মাস কয়েক আগে ঘটে যাওয়া ব্যাঙ্ক ডাকাতির ঘটনার তদন্তে বড়সড় সাফল্য পেল আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের জামুড়িয়া থানার পুলিশ। ডাকাতির ঘটনায় যুক্ত দুই দুষ্কৃতীকে পূর্ব বর্ধমানের পুলিশের কাছ থেকে হেফাজতে নিয়ে ঘটনার পুনর্নিমাণ করল পুলিশ। পুলিশের দাবি জেরায় ওই দুষ্কৃতীরা ডাকাতির ঘটনায় যুক্ত থাকার কথা স্বীকার করেছে। বাকি তিন জন অভিযুক্তের খোঁজে শুরু হয়েছে জোরদার তল্লাশি।
প্রসঙ্গত গত মে মাসের ৩০ তারিখ জামুড়িয়ার দামোদরপুর এলাকার এক অনলাইন ব্যাংকে বন্দুক দেখিয়ে টাকা লুঠ করে পালায় পাঁচ জনের এক দুষ্কৃতী দল। ঘটনার তদন্তে নেমে একাধিকবার ঝাড়খণ্ডের বিভিন্ন এলাকায় সন্দেহভাজন ইজরাইল আনসারী, এমডি মুন্না ,মুকেশ রায় , কালু মিয়া এবং ভরত রায়ের খোঁজে তল্লাশি চালিয়েও দুষ্কৃতীদের ধরতে পারেনি পুলিশ। এরই মধ্যে সম্প্রতি পূর্ব বর্ধমানের বুদবুদ থানা এলাকায় ইজরাইল আনসারী এবং এমডি মুন্না ডাকাতি করার আগে পুলিশের হাতে ধরা পড়ে যায়। জামুড়িয়া থানার পুলিশ তদন্ত করে জানতে পারে বুদবুদে ধৃত ইজরাইল আনসারী এবং এমডি মুন্নাই জামুড়িয়ার ব্যাঙ্ক ডাকাতির ঘটনার জড়িত। এরপর চলতি মাসের ১০ তারিখ ওই দুই দুষ্কৃতীকে নিজেদের হেফাজতে নেয় জামুড়িয়া থানার পুলিশ। তাদের জেরা করে অবশেষে রবিবার ঘটনার পুনর্নিমাণ করল পুলিশ।
এদিন ঘটনার পুনর্নিমাণের সময় দুই অভিযুক্ত দেখিয়ে দেয় কীভাবে তারা এসেছিল, কীভাবে ডাকাতি করেছিল এবং কোথায় আশ্রয় নিয়েছিল। অন্যদিকে ঘটনার পুনর্নিমাণের সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন ডাকাতির ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় বাসিন্দা কার্তিক বাউরি। তিনি জানান যখন ডাকাতির ঘটনাটি ঘটেছিল তখন তিনি ব্যাঙ্ক সংলগ্ন পুকুর ধারে বসে ছিলেন। সেই সময় ইজরাইল আনসারিকে সেখান থেকে দৌড়ে পালাতে দেখে ধাওয়া করেন। এরপরই তাকে লক্ষ্য করে বোমা ছোড়া হয়। যদিও অল্পের জন্য রক্ষা পান তিনি।