সংবাদদাতা, রানিগঞ্জ ও আসানসোলঃ- পশ্চিম বর্ধমান জেলার আসানসোলের রানিগঞ্জ হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষককে মেরে হাতের আঙ্গুল ভেঙে দেওয়ার ঘটনায় রানিগঞ্জ থানার পুলিশ স্কুলের সহকারী শিক্ষক বিজয় দাসকে গ্রেফতার করলো। নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে তার বিরুদ্ধে গুরুতর আঘাত করা সহ একাধিক ধারায় মামলা করা হয়েছে। জানা গেছে, অভিযুক্ত স্কুলের ঐ সহশিক্ষককে শনিবার আটক করা হয়। পরে রাতেই রানিগঞ্জ থানার পুলিশ প্রধান শিক্ষক প্রতিম চট্টোপাধ্যায়ের করা অভিযোগে ঐ শিক্ষককে গ্রেফতার করে। রবিবার তাকে আসানসোল জেলা আদালতে তোলা হলে বিচারক তার জামিন নাকচ করে ধৃতকে জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন।
জানা গেছে ধৃত শিক্ষকের বিরুদ্ধে শুধুমাত্র মারধরের অভিযোগেই নয় তার বিরুদ্ধে টাকা তছরুপের অভিযোগ সহ একাধিক অভিযোগ দায়ের করেছেন প্রধান শিক্ষক। যদিও অপরদিকে ধৃত সহ শিক্ষকের স্ত্রী ঐ স্কুলেরই শিক্ষিকা স্কুলের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ সহ একাধিক অভিযোগ করেছেন রানিগঞ্জ থানায়। পুলিশ উভয় পক্ষেরউ অভিযোগ গ্রহণ করে। তবে স্কুল চলাকালীন প্রধান শিক্ষককে মারধরের ঘটনায় ধৃত শিক্ষক বিজয় দাস ররিবার সকালে রানিগঞ্জ থানা থেকে আসানসোল জেলা আদালতে যাওয়ার পথে সংবাদ মাধ্যমের কাছে নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করেছেন। তিনি দাবি করে বলেন, কোন দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত নই। আর যদি তা হয়েই থাকে তাহলে তার উপযুক্ত প্রমাণ দিক স্কুল কর্তৃপক্ষ বলে দাবি তার। তিনি দাবি করেন, তাকে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের শিকার হতে হয়েছে। তাকে ষড়যন্ত্র করে ফাঁসানো হয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি।
যদিও এই ঘটনায় আহত স্কুলের প্রধান শিক্ষক প্রতিম চট্টোপাধ্যায় বর্তমানে দুর্গাপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন বলে জানা গেছে। তাই এদিন প্রধান শিক্ষকের কোন প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
পুলিশ জানায়, প্রধান শিক্ষকের করা অভিযোগের ভিত্তিতে ঐ শিক্ষককে গ্রেফতার করা হয়েছে। সব অভিযোগই গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে। প্রসঙ্গতঃ, শনিবার সকালে এই ঘটনাটি ঘটে। জানাজানি হওয়ার পরে গোটা শিল্পাঞ্চল জুড়ে শোরগোল পড়ে।