জ্যোতি প্রকাশ মুখার্জ্জী, গুসকরা, বর্ধমান-: একজন জনপ্রতিনিধির প্রাথমিক দায়িত্ব দলীয় সংগঠনকে শক্তিশালী করে গড়ে তোলা হলেও সমাজের প্রতি তার একটা দায়বদ্ধতা থেকেই যায়। গত ৯ বছর ধরে বারবার সমাজের প্রতি নিজের দায়বদ্ধতা পালন করতে দেখা গেছে ‘ডাকলেই পাওয়া যায়’ আউসগ্রামের বিধায়ক অভেদানন্দ থাণ্ডারকে। বেশ কিছুক্ষেত্রে তার প্রতি অভিযোগের আঙুল উঠলেও নিজের দায়িত্ব পালন করতে তিনি ভোলেননা। তীব্র গরমের হাত থেকে বাঁচার জন্য রাস্তার ধারে ব্যবসা করা ক্ষুদ্র প্রান্তিক ব্যবসায়ীদের হাতে ছাতা ও টুপি তুলে দিতে তিনি দ্বিধা করেননা।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জ্জীর স্বপ্নের ‘সেফ ড্রাইভ, সেভ লাইফ’ প্রকল্পকে সফল করতে ট্রাফিক পুলিশ সদা সতর্ক থাকলেও এবার তাদের পাশে থাকতে দেখা গেল বিধায়ককে। পানাগড়ের একটি বেসরকারি সংস্থার সহযোগিতায় ইতিমধ্যে তিনি ১০ জন হেলমেট বিহীন মোটরসাইকেল চালকের হাতে হেলমেট তুলে দেন এবং বাইক চালানোর সময় সেগুলি ব্যবহারের জন্য তাদের অনুরোধ করেন। এছাড়া নিজস্ব উদ্যোগে নিজ বিধানসভার অন্তর্গত ১৪ টি অঞ্চলে শতাধিক হেলমেট বিলি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ইতিমধ্যে সেই কর্মসূচি শুরু হয়ে গেছে। তার এই উদ্যোগে অনেকেই খুব খুশি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ট্রাফিকের সঙ্গে যুক্ত জনৈক সিভিক ভলাণ্টিয়ার বললেন, আমরা নিয়মিত হেলমেট বিহীন বাইক চালকদের সচেতন করি ঠিকই, কিন্তু স্বয়ং বিধায়ক সেই কাজ করলে সমাজে তার একটা অন্য প্রভাব পড়বেই। অন্যদিকে বিধায়ক বললেন, নিজ এলাকার বাসিন্দাদের ভাল-মন্দের দিকে নজর দেওয়া আমার দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। এক্ষেত্রে আমি আমার দায়িত্ব পালন করার চেষ্টা করেছি মাত্র। বাড়িতে নিকট আত্মীয়রা তার ফেরার অপেক্ষায় বসে আছেন – এই কথা স্মরণ করিয়ে তিনি সমস্ত মোটরসাইকেল চালকদের হেলমেট ব্যবহার করার জন্য অনুরোধ করেন।





