জ্যোতি প্রকাশ মুখার্জ্জী, আউসগ্রাম -: গত দু’তিনদিন ধরে কুনুর নদীর উৎসমুখে ও অববাহিকা অঞ্চলে একটানা কখনো ভারী কখনো বা ঝিরঝিরে বৃষ্টি হয়েছে। পাশাপাশি কুনুরের সঙ্গে পরোক্ষভাবে যুক্ত ডিভিসি সহ অন্যান্য জলাধার থেকে প্রচুর পরিমাণে জল ছাড়া হয়েছে। এদিকে নাব্যতা কমে যাওয়ায় কুনুর নদীর জল ধারণক্ষমতা কমে গ্যাছে। ফলে অতিরিক্ত জল নদীর দু’কূল ছাপিয়ে নদী তীরবর্তী গুসকরা পুরসভার বিস্তীর্ণ নীচু এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়েছে।
আকৃতিগত বৈশিষ্ট্যের জন্য গুসকরা পুরসভার ১, ২, ৩, ৪, ১২ সহ বেশ কয়েকটি ওয়ার্ড জলমগ্ন। এলাকাবাসীর সঙ্গে কার্যত যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন মূল শহরের। ফলে চরম দুর্দশায় পড়েছে তারা। সবচেয়ে অবস্থা খারাপ ১ ও ২ নং ওয়ার্ডের একাংশের। ঠিক এই পরিস্থিতিতে গত ১৭ ই সেপ্টেম্বর চিঁড়ে, গুড়, বিস্কুটের মত শুকনো খাবার নিয়ে ওই দু’টি ওয়ার্ডের দুর্গতদের কাছে পৌঁছে যান পুরসভার চেয়ারম্যান কুশল মুখার্জ্জী, ভাইস চেয়ারম্যান বেলী বেগম, ওই দুই ওয়ার্ডের কাউন্সিলার সহ অন্যান্য তৃণমূল কর্মীরা। তারপর সেগুলি তুলে দেওয়া হয় বেশ কিছু দুর্গত পরিবারের হাতে। ঠিক একইভাবে ১৮ ই সেপ্টেম্বর পুরসভার ১২ নং ওয়ার্ডের দুর্গতদের কাছে পৌঁছে যান চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান, ওয়ার্ড কাউন্সিলার সুমন্ত ঘোষ, জয়হিন্দ বাহিনীর উৎপল লাহা সহ ওয়ার্ডের তৃণমূল কর্মী অরুণ, বাবলু, পিণ্টু সহ অন্যান্যরা। সেখানে বন্যায় আটক সাড়ে চার শতাধিক মানুষের হাতে খিচুড়ি ও আলুর দম তুলে দেওয়া হয়। স্বয়ং চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান খিচুড়ি বিতরণের কাজে হাত লাগান। এই বিপর্যয়ের সময় পুরসভাকে পাশে পেয়ে এলাকাবাসী খুব খুশি। পরে চেয়ারম্যান বলেন, প্রাকৃতিক বিপর্যয় রোধ করা ও গুসকরা পুরসভার কয়েকটি ওয়ার্ডের আকৃতিগত বৈশিষ্ট্য পরিবর্তন করার ক্ষমতা আমাদের নাই। আমরা আমাদের সাধ্যমত দুর্গতদের পাশে থাকার চেষ্টা করছি। গুসকরাবাসীদের কাছে আমাদের অনুরোধ, আপনারা চিন্তা করবেননা। পুরসভা আপনাদের পাশে আছে। তিনি আরও বলেন, আমরা আমাদের বিধায়ক অভেদানন্দ থাণ্ডারের সঙ্গে সর্বদা যোগাযোগ রেখে চলেছি।