জ্যোতি প্রকাশ মুখার্জ্জী,আউসগ্রামঃ- দুর্গাপুজোর পর বিজয়া – বাঙালির চিরকালীন প্রথা। ওইদিন পারস্পরিক কুশল বিনিময় হয়। ছোটরা গুরুজনদের পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করে, গুরুজনরা ছোটদের আশীর্বাদ করে, সমবয়সীরা কোলাকুলি করে। এই রীতি বাঙালি সমাজে দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছে।
সম্প্রতি এই রীতি সামাজিক ক্ষেত্র ছাড়িয়ে পৌঁছে গেছে রাজনীতির ময়দানে। এর মাধ্যমে নিজের দলের কর্মী-সমর্থকদের একত্রিত করে আসন্ন লোকসভা ভোটের আগে একটু রাজনীতিও করে নেওয়া হচ্ছে। এযেন ‘এক ঢিলে দুই পাখি মারা’। দলের নির্দেশে সেই কাজটাই করল আউসগ্রাম-১ নং ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস।
স্থানীয় বিধায়ক, সাংসদ, ব্লক সভাপতি সহ দলের সমস্ত স্তরের দলীয় পদাধিকারী ও নেতা কর্মীদের উপস্থিতিতে ২ রা নভেম্বর আউসগ্রাম -১ নং ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের উদ্যোগে আউসগ্রামে পালিত হলো বিজয়া সম্মিলনী। দলের পক্ষ থেকে যথাযোগ্য মর্যাদা সহকারে প্রত্যেককে বরণ করে নেওয়া হয়।
একশ দিনের কাজ, আবাস যোজনা সহ অন্যান্য বকেয়ার দাবিতে সম্প্রতি দিল্লিতে দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক ব্যানার্জ্জীর নেতৃত্বে তৃণমূলের পক্ষ থেকে একটি অবস্থান বিক্ষোভ করা হয়। মঞ্চে উপস্থিত বোলপুরের সাংসদ অসিত মাল সেই সম্পর্কে দলীয় কর্মীদের অবহিত করেন।
এছাড়া মঞ্চে উপস্থিত অন্যান্যে বক্তারা বিজেপি পরিচালিত কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন জনবিরোধী নীতি ও বাংলার প্রতি বিমাতৃ সুলভ আচরণের তীব্র সমালোচনা করেন। আসন্ন লোকসভা ভোটে দল কিভাবে চলবে তার একটা রূপরেখা দেন।
মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন সাংসদ অসিত মাল, বিধায়ক অভেদানন্দ থাণ্ডার, পূর্ব বর্ধমান জেল যুব সভাপতি রাসবিহারী হালদার , জেলা তৃণমূল সহ সভানেত্রী মল্লিকা চোংদার, তৃণমূল নেতা লালন সেখ, গুসকরা পুরসভার চেয়ারম্যান কুশল মুখার্জ্জী , ভাইস চেয়ারম্যান বেলী বেগম, জেলা পরিষদের সহ সভাধিপতি গার্গী নাহা, পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ মিঠু মাঝি, ব্লক সভাপতি অরূপ সরকার সহ আরও অনেকে।
অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী নৃত্য পরিবেশন করে প্রীতি মুখার্জ্জী। এছাড়াও সাঁওতালি নৃত্যের মাধ্যমে অতিথিদের স্বাগত জানানো হয়।