জ্যোতি প্রকাশ মুখার্জ্জী,আউসগ্রামঃ- শুধু গত বিধানসভা ভোটের ফলাফলের নিরিখে নয় কার্যত আউসগ্রাম-২ নং ব্লকের লালদুর্গ হলো কোটা। এখানে সিপিএমের কঠিন রক্ষণ ভাঙতে দলের প্রার্থীদের হয়ে প্রচারে এলেন তৃণমূলের আইটি সেলের সভাপতি দেবাংশু ভট্টাচার্য। সঙ্গে ছিলেন পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূলের সহ-সভাপতি মল্লিকা চোংদার, জেলা পরিষদের প্রার্থী মুনমুন মুখার্জ্জী, পঞ্চায়েত সমিতির শিখা বাউড়ি সহ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রার্থী মঙ্গলী মাঝি, কণিকা ভট্টাচার্য, পলাশ লোহার, মিতা ভৌমিক, ইন্দ্রানী চক্রবর্তী এবং এলাকার দলীয় পরিদর্শক দাতা লালন , পূর্ব বর্ধমান জেলা যুব সভাপতি রাসবিহারী হালদার, স্থানীয় বিধায়ক অভেদানন্দ থাণ্ডার সহ দলের স্থানীয় নেতা-কর্মীরা।
সাধারণ মানুষের স্বার্থে লক্ষীর ভাণ্ডার, স্বাস্থ্যসাথী কার্ড, কন্যাশ্রী, সবুজ সাথী সহ তৃণমূল পরিচালিত রাজ্য সরকারের একের পর এক জনকল্যাণমূলক উন্নয়নের তালিকা তুলে ধরে মল্লিকা চোংদার সরাসরি সিপিএম এর সঙ্গে সঙ্গে বিজেপিকে আক্রমণ করেন। সিপিএম এর কাছে তিনি জানতে চান চৌত্রিশ বছর ধরে তারা জনগণের স্বার্থে কি কি কাজ করেছে? এখানেই সভা করে তার তালিকা জনগণের সামনে তুলে ধরার জন্য তিনি সিপিএমের নেতাদের আহ্বান জানান। সিপিএমের সন্ত্রাসের জবাবে তিনি দলীয় প্রার্থী কণিকা ভট্টাচার্যের পরিবারের সঙ্গে কি হয়েছিল সেটা সিপিএমের নেতাদের কাছে জানতে চান।
একের পর এক ‘রোড শো’ ও জনসভা করার পর নির্দিষ্ট সময়ের অনেক পরে কোটার জনসভায় দেবাংশু এলেও প্রবল গরম উপেক্ষা করে, প্রত্যাশমত না হলেও, দলীয় কর্মীদের সঙ্গে সঙ্গে সাধারণ মানুষের ভিড় হয়েছিল যথেষ্ট। দেবাংশুকে ঘিরে উন্মাদনা ছিল। তাকে দেখার জন্য আশেপাশের বাড়ি থেকে অনেককেই উঁকিঝুঁকি দিতে দেখা যায়।