জ্যোতি প্রকাশ মুখার্জ্জী,আউসগ্রামঃ- গত ৩ রা মে থেকে মণিপুরে যে জাতিদাঙ্গা শুরু হয়েছে আজও তার বিরতি নাই। দাঙ্গায় শতাধিক মানুষ নিহত, বহু নারীর মর্যাদা লুণ্ঠিত, পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে ঘরবাড়ি, আতঙ্কে হাজার হাজার মানুষ ঘরছাড়া হয়ে উদ্বাস্তু শিবিরে জীবন কাটাতে বাধ্য হচ্ছে। সবকিছুকে ছাপিয়ে গেছে সম্প্রতি ভাইরাল হওয়া একটা ভিডিও।
ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে দু’জন ধর্ষিতা মহিলাকে বিবস্ত্র অবস্থায় রাস্তা দিয়ে হাঁটিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। ক্যামেরার সামনেই চলছে লাঞ্ছনা। পেছনে জনতা। নীরব স্থানীয় প্রশাসন। কয়েক সেকেন্ডের ভিডিওটির জন্য লজ্জায় মাথা হেঁট হয় সমগ্র দেশের। আতঙ্ক শিউরে ওঠে দেশবাসী। বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সঙ্গে বহু অরাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান এবং সাধারণ মানুষ প্রতিবাদে ফেটে পড়ে। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে আয়োজিত হয় প্রতিবাদ মিছিল।
২৮ শে জুলাই যুব তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সভানেত্রী সায়নী ঘোষের নির্দেশে আউসগ্রাম-১ নং ব্লক যুব তৃণমূলের উদ্যোগে এরকমই একটি প্রতিবাদ মিছিলের আয়োজন করা হয়।
গোপীনাথবাটীর তৃণমূলের দলীয় অফিস থেকে এই প্রতিবাদ মিছিল শুরু হয় এবং প্রায় ২ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে মিছিল শেষ হয় দ্বারিয়াপুর ষষ্ঠীতলায়। দলীয় সদস্যরা ছাড়াও সমাজের বিভিন্ন স্তরের প্রায় দুই শতাধিক মানুষ এই মিছিলে অংশগ্রহণ করে। মিছিলে বিভিন্ন বয়সী মহিলার সংখ্যা ছিল যথেষ্ট।
মিছিলে অংশগ্রহণ করেন আউসগ্রাম-১ নং ব্লক তৃণমূল সভাপতি অরূপ সরকার, সেখ সালেক রহমান, প্রশান্ত গোস্বামী, শ্রীকুমার রায়, তন্ময় গোস্বামী, দেবব্রত মল্লিক এবং আউসগ্রাম-১নং ব্লক যুব তৃণমূল সভাপতি দেবাঙ্কুর চ্যাটার্জ্জী সহ শতাধিক তৃণমূল কর্মী ও সাধারণ মানুষ।
দেবাঙ্কুর বাবু বললেন – শুধু মণিপুর কেন যে কোনো জায়গায় নারী নির্যাতন বড় লজ্জার। কিন্তু মণিপুরের ঘটনা সমগ্র নির্লজ্জতাকে অতিক্রম করে গেছে। এই লজ্জা একজন নারীর সঙ্গে সঙ্গে সমগ্র পুরুষ জাতির পক্ষে বড় লজ্জাজনক ঘটনা। লজ্জায় মাথা হেঁট হয়ে যায়। সবচেয়ে দুঃখজনক বিষয় হল মণিপুর জ্বলছে আর দেশের প্রধানমন্ত্রী উদাসীন থেকেছেন। শতাধিক মানুষের মৃত্যুর পরও মণিপুর যাওয়া প্রয়োজন মনে করেননি। মণিপুরের লজ্জাজনক ঘটনা ও একইসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী উদাসীনতার বিরুদ্ধে সমস্ত স্তরের শুভবুদ্ধি সম্পন্ন মানুষকে প্রতিবাদ করতেই হবে।