eaibanglai
Homeএই বাংলায়বনদপ্তরের উদ্যোগে বন্যপ্রাণী সচেতনা শিবির হলো আউসগ্রামে

বনদপ্তরের উদ্যোগে বন্যপ্রাণী সচেতনা শিবির হলো আউসগ্রামে

জ্যোতি প্রকাশ মুখার্জ্জী, আউসগ্রাম, পূর্ব বর্ধমান-: জঙ্গল ঘেরা আউসগ্রামের ঘন জঙ্গল ময়ূর, সাপ সহ বিভিন্ন বন্যপ্রাণীর বাসস্থান হয়ে উঠেছে। জঙ্গলে দেখতে পাওয়া যায় বিভিন্ন গাছ। কিন্তু একশ্রেণির মানুষের অজ্ঞতা এবং লোভের জন্য মাঝে মাঝে চরম সমস্যার সৃষ্টি হয়। অনেক সময় শীতকালে গাছের নীচে ঝরে পড়া শুকনো পাতায় আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। ফলে বহু গাছ যেমন আগুনে পুড়ে যায় তেমনি অবলা প্রাণীরা পর্যন্ত আগুনের হাত থেকে রেহাই পায়না। সেগুলি ঝলসে যায়। এরফলে একদিকে যেমন পরিবেশ দূষিত হয় তেমনি প্রকৃতির ভারসাম্য নষ্ট হয়। পরিস্থিতির কুফল সম্পর্কে সাধারণ মানুষকে সচেতন করার জন্য বনদপ্তরের পাশাপাশি এগিয়ে আসেন স্থানীয় পরিবেশ কর্মীরা।

এবার ময়ূর সহ অন্যান্য বন্যপ্রাণীদের সংরক্ষণের জন্য আউশগ্রামের জালিকাঁদরের ফুলবাগান আদিবাসী পাড়ার বাসিন্দাদের সচেতন করার জন্য এগিয়ে এলেন স্থানীয় আউশগ্রামের আদুরিয়া বনদপ্তরের বিট অফিসার পিনাকী ভট্টাচার্য্য এবং লেখক তথা বন ও বন্যপ্রাণী প্রেমী রাধামাধব মণ্ডল, পিপিডি স্কুলের শিক্ষক শিবাজী মিত্র।

৩০ শে ডিসেম্বর আয়োজিত এই শিবিরে উপস্থিত স্থানীয় আদিবাসীদের রীতিমতো প্রোজেক্টারের মাধ্যমে আদুরিয়া গড়কেল্লার জঙ্গলের বিভিন্ন বন্যপ্রাণীদের দেখানো হয়। এইসব বন্যপ্রাণীরা মানুষের কোনো ক্ষতি করেনা, উল্টে উপকার করে সেটা তাদের বোঝানোর চেষ্টা করা হয়। বনদপ্তরের উদ্যোগে স্থানীয়রা খুব খুশি।

পিনাকী বাবু বলেন, পরিবেশকে রক্ষা করতে হলে অবশ্যই বন ও বনপ্রাণী সংরক্ষণের প্রয়োজন। সচেতন হতে হবে স্থানীয়দের। এরজন্য আমরা এলাকায় নিয়মিত সচেতনতামূলক শিবিরের আয়োজন করে থাকি। এটি তারই একটা অঙ্গ।

অন্যদিকে স্থানীয় গবেষক তথা লেখক রাধামাধব মণ্ডল বললেন, পরিবেশ রক্ষার স্বার্থে আমাদের প্রত্যেককেই সচেতন হতে হবে। এটাই আমরা এলাকাবাসীদের বোঝানোর চেষ্টা করেছি। একই সুর শোনা যায় শিবাজী বাবুর কণ্ঠে।

RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments