eaibanglai
Homeএই বাংলায়দুর্গা প্রতিমার কাঠামোয় মাটি দিলেন পুলিশ আধিকারিক

দুর্গা প্রতিমার কাঠামোয় মাটি দিলেন পুলিশ আধিকারিক

জ্যোতি প্রকাশ মুখার্জ্জী, আউসগ্রাম, পূর্ব বর্ধমান -: মাঝে মাত্র কয়েকদিন বাকি। তারপরই শুরু হতে চলেছে বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজো। ইতিমধ্যে প্রাথমিক প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেছে। তৈরি হচ্ছে মূর্তির কাঠামো। কোথাও আবার বিশিষ্ট ব্যক্তিদের হাত দিয়ে কাঠামোয় মাটি লেপনের মাধ্যমে তৈরি হচ্ছে দুর্গা মূর্তি ।

আউসগ্রামের জঙ্গল মহলের গোপালপুর উল্লাসপুর সর্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটির দুর্গা মূর্তির খড়ের কাঠামোয় মাটি দিলেন আউশগ্রাম থানার আইসি শান্তনু অধিকারী ও ছোড়া পুলিশ ফাঁড়ির ওসি রাহুল দাস এবং সেইসঙ্গে শুরু হলো মূর্তি তৈরির কাজ। উপস্থিত ছিলেন দুই গ্রামের বেশ কিছু বাসিন্দা।

প্রসঙ্গত, এই পুজোর অন্যতম উদ্যোক্তা হলেন বিশিষ্ট লেখক তথা গবেষক রাধামাধব মণ্ডল। একদিন গ্রামের গরীব ক্ষেতমজুর বাসিন্দাদের পক্ষে দুর্গাপুজোর মত ব্যয়বহুল পুজোর আয়োজন করার মত আর্থিক সামর্থ্য ছিলনা। ফলে একসময় এই গ্রামের দুর্গাপুজো হতোনা। পুজোর সময় জমিদার বাড়িতে অবহেলিত ক্ষেততমজুরা তাদের একদিনের আয় দিয়ে অনাড়ম্বর পরিবেশে কষ্ট করেই শুরু করেন পুজো। পরে রাধামাধব বাবু, তার স্ত্রী রাখী ঘোষ সহ অন্যান্যদের সক্রিয় সহযোগিতায় এই পুজো অন্যমাত্রা পায়। এখন অবশ্য আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের উদ্যোগে গত কয়েক বছর ধরে তারা সরকারি সাহায্য পাচ্ছেন। ফলে বেশ জাঁকজমক করেই পুজো হয়।

এখানকার দুর্গাপুজোর সান্ত্রততা দেখা যায়। পুজোর সময় মণ্ডপে কৃষক, বৃহন্নলা বা দেহোপজীবীদের এনে পুজো করা হয়। মহা চতুর্থীর দিন তারা শুরু করে পুজো। এবার কাদের পুজো করা হবে সেটা এখনো জানা যায়নি। তবে এবারও সমাজে লড়াই করে বেঁচে থাকা মায়েদের পুজোর মধ্যে দিয়েই পুজো শুরু হবে সেটা নিশ্চিত।

জানা যাচ্ছে কিছুদিনের মধ্যেই পুজোর থিম সং প্রকাশিত হবে। পাশাপাশি পুজোয় দেশের শহীদ সৈনিকদের পরিবারের গৃহবধূদের আনার একটা পরিকল্পনা উদ্যোক্তাদের আছে।

কাঠামোয় মাটি দেওয়ার সুযোগ পেয়ে আউশগ্রাম থানার আইসি ও ছোড়া পুলিশ ফাঁড়ির ওসি খুব খুশি। আইসি বললেন, পেশাগত কারণে দুর্গাপুজোর সময় আমাদের কাছে ব্যক্তিগত আনন্দ উপভোগ করার থেকে আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখা বেশি গুরুত্ব পায়। কিন্তু আজ যে সুযোগ পেলাম তাতে আমরা গর্বিত ও সম্মানিত। তার সঙ্গে সহমত প্রকাশ করলেন ছোড়া পুলিশ ফাঁড়ির ওসি।

অন্যদিকে রাধামাধব বাবু বললেন, দুই পুলিশ আধিকারিককে কাছে পেয়ে আমরা খুব খুশি। আমরা চাই দুর্গাপুজো সবাই আনন্দে কাটাক।

RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments