eaibanglai
Homeএই বাংলায়বিশ্ব প্রতিবন্ধী দিবস পালিত হলো আউসগ্রামে

বিশ্ব প্রতিবন্ধী দিবস পালিত হলো আউসগ্রামে

সৌভিক সিকদার, আউসগ্রাম, পূর্ব বর্ধমান -: শারীরিকভাবে অসম্পূর্ণ ব্যক্তি অর্থাৎ বিশেষ চাহিদা সম্পন্নদের প্রতি সহমর্মিতা প্রদর্শন ও সম্মান জানানোর উদ্দেশ্যে জাতিসংঘের পক্ষ থেকে ১৯৯২ সালে ৩ ডিসেম্বর দিনটি ‘বিশ্ব প্রতিবন্ধী দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করা হয় এবং তারপর থেকে দিনটি যথাযোগ্য মর্যাদা সহকারে বিশ্বজুড়ে পালন করা হয়। দিনটি পালনের মূল উদ্দেশ্য হলো বিশেষ চাহিদা সম্পন্নদের তাদের অধিকার সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করা এবং সমাজের প্রতিটি স্তরে তাদের সমান অংশগ্রহণের জন্য উৎসাহিত করা।  

পূর্ব বর্ধমানের সর্বশিক্ষা মিশনের আর্থিক আনুকূল্যে এবং গুসকরা-২ নং চক্রের পরিচালনায় আউসগ্রামের ছোড়া এফ.পি স্কুলে একটি ছোট্ট সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পালিত হয় ‘বিশ্ব প্রতিবন্ধী দিবস’। মূল উদ্যোক্তা ছিলেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দীপেন্দু ব্যানার্জ্জী।

অনুষ্ঠানের শুরুতেই একটি র‍্যালি বের হয়। র‍্যালিতে পার্শ্ববর্তী তিনটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রী, তাদের অভিভাবক এবং শিক্ষক শিক্ষিকারা অংশগ্রহণ করেন। ছিলেন ব্রাহ্মন ডিহি প্রাঃ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দীপেন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়, পাথরকুচি প্রাথমিক বিদ্যালের শিক্ষক অর্ঘ্য বিশ্বাস, পাণ্ডুক প্রাঃ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আশুতোষ দত্ত, অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক সাম্যব্রত ভট্টাচার্য্য সহ দুই স্পেশাল এডুকেটর ইন্দ্রনীল মুখার্জী ও সুরজিৎ লেট।এছাড়াও ছিলেন বিশিষ্ট সমাজসেবী সেখ লালন যিনি এলাকায় দাতা লালন নামে পরিচিত, বিশ্বদীপ ভট্টাচার্য্য সহ আরও অনেকেই।

পরে একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়। সেখানে ক্ষুদে শিক্ষার্থীরা নৃত্য পরিবেশন করে। তাদের পরিবেশিত নৃত্য উপস্থিত দর্শকদের মুগ্ধ করে।

দাতা লালন বলেন, আমরা সর্বদা ওদের পাশে ছিলাম, আছি এবং ভবিষ্যতেও থাকব। ওরাও আমাদের এই সমাজের অংশ এবং ওদের সমান অধিকার আছে।

দুই স্পেশাল এডুকেটরের ভূয়সী প্রশংসা করে দীপ্তেন্দু বাবু বলেন, ওদের নিরলস প্রচেষ্টার জন্য এইসব চাহিদা সম্পন্ন শিশুরা ধীরে ধীরে নিজেদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস পাচ্ছে। সর্বদা পাশে থাকার জন্য তিনি দাতা লালনেরও প্রশংসা করেন।

RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments