জ্যোতি প্রকাশ মুখার্জ্জী, আউসগ্রাম, পূর্ব বর্ধমান -: আউশগ্রামের দীননাথপুরের বাসিন্দা সুনীল সেনগুপ্ত স্ত্রী ইতিকাকে সঙ্গে নিয়ে কলকাতার বেহালায় বসবাসরত পেশায় দক্ষিণ চব্বিশ পরগণা জেলা পরিষদের ইঞ্জিনিয়ার পুত্র সৌরভের বাড়ি যান। গ্রামের বাড়ি ফাঁকা পড়ে থাকে। সেই সুযোগটাই নেয় চোর। গত ২৬ শে ডিসেম্বর গভীররাতে এক তলা পাকা বাড়ির দুটি রুমের তালা ভেঙ্গে তারা ঘরে প্রবেশ করে। দুটি গোদরেজ আলমারির লকার ভেঙ্গে চুরি করে সোনার গহনাগাটি। এমনকি আলমারিতে রাখা নগদ পঁয়ত্রিশ হাজার টাকা নিয়েও চোররা পালিয়ে যায়।
এদিকে প্রতিদিনের মত সকালে তুলসীগাছে জল দিতে ও উঠান পরিস্কার করতে এসে গ্রামের ভগবতী গোস্বামী দেখেন বাড়ির বাইরের গেটের তালা ভাঙা। ভয় পেয়ে তিনি প্রতিবেশীদের ডাকেন। তারা এসে দেখে বাড়ির সমস্ত তালা ভাঙা। গহনার কৌটাগুলো এলোমেলো ভাবে মেঝেতে পড়ে আছে। তবে বাসনকোসন, জামাকাপড়, টিভিসহ অন্য সব জিনিসপত্র ঠিকঠাক আছে। সঙ্গে সঙ্গে প্রতিবেশীরা ছোড়া পুলিশ ফাঁড়িতে খবর দিলে পুলিশ তদন্তের জন্য ঘটনাস্থলে আসে। খবর দেওয়া হয় সুনীল বাবুকেও। পাড়ার মাঝখানে এমন দুঃসাহসিক চুরির ঘটনায় নিরাপত্তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন! স্থানীয় বাসিন্দা কৃষ্ণকান্ত দলুই বলেন, প্রায়ই রাতে পুলিশের নাইট ডিউটির গাড়িটা ঘোরে। গতকাল রাতে এদিকে আসেনি। আর সেদিনই চুরি হল। স্থানীয়দের অনুমান, পুকুরের পাশের দেওয়াল টপকে ঢুকেই এমন চুরির ঘটনা ঘটিয়েছে। এই এলাকায় কখনও ঘটেনি এমন ঘটনা। ফলে সবার মধ্যেই আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। পুলিশ দফায় দফায় এলাকা পরিদর্শনে আসে। ফাঁকা বাড়িতে সিভিক ভলাণ্টিয়ার মোতায়েন করা হয়েছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত সেনগুপ্ত দম্পতি তখনও কলকাতা থেকে গ্রামের বাড়িতে ফিরে আসতে পারেননি।