সংবাদদাতা, বাঁকুড়াঃ- বাঁকুড়া শহরের বেসরকারি স্কুলগুলিতে স্কুল গাড়ি থাকলেও পড়ুয়াদের অভিভাবকরা পুলকার এর ওপরেই বেশি ভরসা করছেন, আর এখানেই বাড়ছে দুর্ঘটনার আশঙ্কা। গত কয়েকদিন আগে কলকাতার চুচুড়াতে পুলকারের দুর্ঘটনা এখনো সকলের মনে টাটকা। যেখানে দেখা যাচ্ছে বেশিরভাগ পুলকার গুলির স্বাস্থ্য দুর্বল হয়ে পড়েছে। যেমন টায়ারের বিট খসে গিয়েছে, গাড়ির ইন্সুরেন্স ফেল হয়েছে, বা যান্ত্রিক ত্রুটি রয়েছে। একাধিক পুলকার গুলিতে কিন্তু তারপরেও স্কুল পড়ুয়াদের অভিভাবকরা নিজেদের ছেলেমেয়েদেরকে স্কুলে পাঠাচ্ছেন। এর ফলে ঘটতে পারে যে কোন মুহূর্তে ভয়ানক দুর্ঘটনা। এক বেসরকারি স্কুলের প্রিন্সিপাল তপন কুমার প্রতি বলেন, জেলা প্রশাসনের তরফ থেকে আমাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল সমস্ত গাড়ির প্রয়োজনীয় নথিপত্র বিশেষত স্কুলের নিয়ন্ত্রণে যে গাড়ি গুলো চলে জেলা পরিবহন দপ্তরে জমা দেওয়ার জন্য ইতিমধ্যেই আমরা সেগুলো জমা করে দিয়েছি। যে সমস্ত জায়গায় দেখা যাচ্ছে স্কুলে গাড়ির ব্যবস্থা নেই বা কোন জায়গায় হয়তো আছে কিন্তু তা সত্ত্বেও অভিভাবকরা বাচ্চাদের সুবিধার কথা ভেবে বিভিন্ন রকমের গাড়ির ব্যবস্থা করেছেন সেই ব্যাপারে স্কুল কতটা কি করতে পারে, সে ব্যাপারে আমার যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে। তবে শিক্ষা দপ্তর থেকে যদি কোন নির্দেশ আছে তাহলে আমরা হয়তো তাদের কাগজপত্র দেখতে পারি। গার্জিয়ানদের আমরা বাধ্য করতে পারি না হয় নিজে পৌঁছান না হয় স্কুল গাড়ি ব্যবহার করুন। এক অভিভাবক মধুসুধন ডাঙ্গর বলেন, আমরা খুব আশঙ্কাতে আছি বিভিন্ন জায়গায় যে দুর্ঘটনা ঘটছে যেকোনো সময় আমাদের এখানেও দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। প্রচুর ছোট গাড়ি আছে যাদের টায়ারের ঠিক নেই, গাড়ির কাগজপত্র ঠিক আছে কিনা সেটাও দেখতে হবে। এই বিষয় নিয়ে আমরা খুব চিন্তায় আছি। এক গাড়ী চালক আনবারুল খন নিজের দায় এড়িয়ে বলেন, টায়ার চেঞ্জ করার আছে দু-একদিনের ভেতরে চেঞ্জ হয়ে যাবে। আমাদের স্কুল ছুটি ছিল গাড়ির কাজ চলছিল। গাড়ির মালিক অন্য কাজে ব্যস্ত থাকে সে কারণে হয়তো পারেনি। তবে গাড়ির কাগজপত্র ঠিক আছে বলে জানান তিনি। তার নিজের ড্রাইভারি লাইসেন্স আছে কিনা সে বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন লাইসেন্স বাড়িতে আছে এ মুহূর্তে কাছে নেই।