সংবাদদাতা,বাঁকুড়াঃ- ড্রোনের ব্য়বহারে রাজ্যের কৃষিক্ষেত্রে বিপ্লব আনতে চাইছে সরকার। জেলায় জেলায় কৃষকদের ড্রোন ব্যবহার করে কৃষি জমিতে তরল সার এবং ওষুধ ছড়ানোর প্রশিক্ষণ দিচ্ছে কৃষি দপ্তর। দাবি ড্রোন ব্যবহারের ফলে সময় পরিশ্রমের পাশাপাশি জলের অপচয় কম হবে। ফলন ভালো হবে।
এদিন বাঁকুড়া জেলার ছাতনা ২নং গ্ৰাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত ঝগড়াপুর গ্রামে কৃষি তথ্য উপদেষ্টা কেন্দ্র এফএআইসি ছাতনার ব্যবস্থাপনায় প্রায় ৫০ বিঘা জমিতে কীটনাশক স্প্রে করা হলো ড্রোনের মাধ্যমে। যা দেখে রীতিমতো উচ্ছ্বসিত এলাকার কৃষকরা।
কৃষকরা জানান সরকারি “এগ্রিকালচার” ড্রোন চালানো শিখে জমিতে ওষুধ ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। এতে শারীরিক পরিশ্রমের পাশাপাশি বেঁচে যাচ্ছে সময়। একজন কৃষক সারাদিন কাজ করলে বিঘা চার জমিতে ওষুধ ছড়াতে পারেন। তবে এই ড্রোন মাত্র দুই থেকে আড়াই মিনিটে এক বিঘা জমিতে ছড়িয়ে দিচ্ছে ওষুধ ও তরল সার। ড্রোনের নিচে লাগানো রয়েছে একটি ছোট্ট ট্যাংকি। তাতেই ভরা হচ্ছে তরল ওষুধ। এছাড়া ওষুধ ও সার ফসলের প্রতিটি অংশে পৌঁছে যাচ্ছে, ফলে ফলন ভাল হচ্ছে। আবার জলও কম লাগছে ,বাঁচছে কৃষকদের প্রাণও।
প্রসঙ্গত, চাষের জমিতে ওষুধ কিংবা জল স্প্রে করতে গিয়ে সাপের কামড়ে প্রতিবছর প্রাণ হারান এক বড় সংখ্যক কৃষক। মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচতে গরীব কৃষকরা পায়ে হাতে চট বেঁধে মাঠে নামেন কাজ করতে। তবে অত্য়াধুনিক পদ্ধতির ড্রোন চলে আসায় কৃষিকাজ করতে গিয়ে আর বেঘোরে প্রাণ দিতে হবে না কৃষকদের।





