eaibanglai
Homeএই বাংলায়বিধানসভায় পাশ ‘বাংলা দিবস’ও বাংলার সঙ্গীত সংক্রান্ত প্রস্তাব

বিধানসভায় পাশ ‘বাংলা দিবস’ও বাংলার সঙ্গীত সংক্রান্ত প্রস্তাব

এই বাংলায় ওয়েব ডেস্কঃ– বৃহস্পতিবার বিধানসভায় পাশ হল ‘বাংলা দিবস’ও বাংলার সঙ্গীত সংক্রান্ত প্রস্তাব। ১ বৈশাখই পালিত হবে ‘বাংলা দিবস’এবং রাজ্য সঙ্গীত হল ‘বাংলার মাটি, বাংলার জল’। এদিন ‘বাংলা দিবস’ও ‘রাজ্য সঙ্গীত’নিয়ে বিধান প্রস্তাব আনা হয়। অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়য়ের অনুমতি নিয়ে ‘পয়লা বৈশাখ’-কে পশ্চিমবঙ্গ দিবস ও ‘বাংলার মাটি, বাংলার জল’-কে রাজ্য সংগীত হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার প্রস্তাব পেশ করেন মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। প্রস্তাব পেশের সময় অধিবেশনে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। বিধায়ক সংখ্যার নিরিখ সহজেই তৃণমূল সরকার এই প্রস্তাব পাশ করে। এখন এই বিল সই করার জন্য রাজ্যপালের কাছে পাঠানো হবে।

এরপরই এদিন পয়লা বৈশাখের দিনই ‘পশ্চিমবঙ্গ দিবস’ পালিত হবে বলে সাফ জানিয় দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একই সঙ্গে তিনি জানান ‘বাংলার মাটি বাংলার জল’-কে রাজ্য সংগীত হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে।

প্রসঙ্গত বিজেপি প্রথম থেকেই ২০ জুন ‘পশ্চিমবঙ্গ দিবস’-এর দাবি করে আসেছে। গত ২০ জুন পশ্চিমবঙ্গ দিবস পালন করেছিল রাজভবন। প্রথম থেকেই সেই দিনের বিরোধিতা করে রাজ্য সরকার। এবং ‘বাংলা দিবস’এর দিন ঠিক করার জন্য কমিটি গঠন করা হয় এবং সম্প্রতি ‘পশ্চিমবঙ্গ দিবস’-এর দিনক্ষণ ঠিক করতে নবান্ন সভাঘরে বিদ্বজ্জনদের উপস্থিতিতে সর্বদলীয় বৈঠক ডাকেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই বৈঠকে উপস্থিত অধিকাংশ প্রতিনিধি ‘পয়লা বৈশাখ’-কেই পশ্চিমবঙ্গ দিবস হিসেবে পালন করার পক্ষে মত দেন। একইসঙ্গে ‘বাংলার মাটি, বাংলার জল’-কে রাজ্য সংগীত হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়। যদিও ওই বৈঠকে বিজেপি, কংগ্রেস ও সিপিএমের মতো প্রধান রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন না।

অন্যদিকে প্রস্তাব পেশের পর আলোচনা শুরুর সঙ্গে সঙ্গে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে হইচই শুরু করে দেন বিরোধী দল বিজেপির বিধায়করা। শুভেন্দু অধিকারী, শঙ্কর ঘোষরা এদিন অধিবেশনকক্ষে এ নিয়ে নিজেদের বক্তব্য পেশ করেন। বিজেপি বিধায়কদের দাবি, ইতিহাসকে বিকৃত করা হচ্ছে। শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের অবদানকে খাটো করে দেখান হচ্ছে। শুধু তাই নয়, সংখ্যার জোরে তৃণমূল সরকার বিল পাশ করিয়েও নিলেও, রাজ্যপালকে ওই বিলে তাঁরা সই করতে দেবেন না বলে হুঁশিয়ারি দেন শুভেন্দু অধিকারী । মুখ্যমন্ত্রীকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য করার মতো বাকি বিলগুলির যা অবস্থা হয়েছিল, এই বিলেরও সেই অবস্থা হবে, প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখবেন বলে হঁশিয়ারি দেন শুভেন্দু। বিজেপির পাশাপাশি সরকারের আনা এই প্রস্তাবের বিরোধিতা করেছেন ভাঙড়ের আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকিও।

RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments