সুজয় কর, বাগনান:- গত ২৩ শে জুন বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৫ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে বিশিষ্ট সাহিত্য সংগঠন ‘কুহেলিকা’-র উদ্যোগে এবং একগুচ্ছ কবি-সাহিত্যিকের উপস্থিতিতে বাগনানের টেঁপুর নবাসন অনন্তরাম উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে আয়োজিত হয় আন্তর্জাতিক বাংলা সাহিত্য সভা। পাশাপাশি ঐতিহাসিক পলাশী দিবস উপলক্ষ্যে পরিবেশ বন্ধু চিতক প্রামাণিক ও সৈকত খাঁড়া ১২৫ টি আম গাছের চারা বিতরণ করেন।
অনুষ্ঠানে নজরুল চর্চায় অংশগ্রহণ করেন হাওড়া জেলার বন ও ভূমি দপ্তরের কর্মাধ্যক্ষ মানস কুমার বসু, টেঁপুর নবাসন অনন্তরাম উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সূর্য্য শেখর দাস, বিশিষ্ট কবি তথা শিক্ষানুরাগী অভিযান বন্দোপাধ্যায়, দুই বাংলার জনপ্রিয় কবি বরুণ চক্রবর্তী ও বিশিষ্ট নজরুল গবেষক ড. দীপা দাস।
কবিতা পাঠ করেন অর্পিতা বন্দোপাধ্যায়, রঞ্জনা কর্মকার, সাবিনা সৈয়দ, প্রসূন মিত্র, মলয় দত্ত, রাখী দত্ত সহ অনেকেই। শ্রেয়া দাসের মূল্যবান বক্তব্য উপস্থিত শ্রোতাদের মুগ্ধ করে। সমগ্র অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বিশিষ্ট সাহিত্যিক হেমন্ত রায় ও কবি আকাশ পাইন। সংস্থার পক্ষ থেকে উপস্থিত বিশিষ্ট ব্যক্তিদের স্বাগত জানান ঝিন্দন প্রধান, শাস্বতী দত্ত ও পৌলভী মিশ্র।
এর আগে কবির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে গাছের গোড়ায় জল দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা করা হয়। তাতে অংশগ্রহণ করেন উপস্থিত বিশিষ্ট ব্যক্তিরা। অনুষ্ঠানে উদ্ধোধনী সঙ্গীত পরিবেশন করেন বিশিষ্ট সঙ্গীত শিল্পী সমীর কুমার পাল। তিনজন গুনী ব্যক্তিকে ‘নজরুল স্মৃতি রৌপ্য কলম’ সম্মাননা প্রদান করা হয়। প্রবীণ কৃষক কবি অমর কুমার দাসের হাতে কাস্তে তুলে দিয়ে বিশেষ সম্মান প্রদান করা হয়।
সংস্থার সম্পাদক চন্দ্রনাথ বসু বলেন – বাংলা ভাষাকে বাঁচাতে হলে আমাদের প্রত্যেককে রবীন্দ্র-নজরুলকে মনে রাখতেই হবে। বাংলার ঘরে ঘরে তাদের ভাবনাকে ছড়িয়ে দিতেই হবে।