সংবাদদাতা,বাঁকুড়াঃ- সামনেই তালডাংরা বিধানসভা আসনে উপনির্বাচন এবং বাঁকুড়ার সাংগঠনিক জেলা জুড়ে সাংগঠনিক পদে রদবদলের হওয়ার সম্ভাবনা উঠতেই ফের সিমলাপালে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এল। আর গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরেই তৃণমূলের অঞ্চল কার্যালয়ে চাবি দেওয়ার ঘটনা ঘটলো।
উল্লেখ্য বাঁকুড়ার সিমলাপাল ব্লকে তৃণমূলের ব্লক সভাপতি ফাল্গুনী সিংহবাবু ও ব্লক সহ-সভাপতি কল্যান করের গোষ্ঠীদ্বন্দের কথা রাজনৈতিক মহলের চর্চার বিষয় হয়ে উঠেছিল। আর সেই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে আসতেই কর্মীদের মধ্যে হাতাহাতি এবং অঞ্চল কার্যালয় চাবি দেওয়ার ঘটনা ঘটল ব্লক সহ-সভাপতির বিরুদ্ধে।
তৃণমূল সূত্রে জানা যায় ২০১০ সাল থেকে সিমলাপাল স্কুলমোড় সংলগ্ন এলাকার রাজ্যসড়কের পাশে কোনো ব্যক্তির দখলীকৃত জায়গা নিয়ে পার্টি অফিস টি তৈরী হয়। যা ব্লক সহ সভাপতি কল্যান করের নামে জায়গাটি রয়েছে। তৎকালীন সময় ঐ কার্যালয়টি সিমলাপাল ব্লক কার্যালয় নামকরণ করা হয় এবং বর্তমানে এই কার্যালয়ের নামকরণ করা রয়েছে সিমলাপাল অঞ্চল তৃণমূল কার্যালয় নামে। আর গোষ্ঠীদ্বন্দের জেরে এই কার্যালয়টি চাবি দেওয়ার অভিযোগ উঠল ব্লক সহ-সভাপতির উপর। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার রাতে।
যদিও নিজেকে সিমলাপাল ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সহ-সভাপতি পদের দাবি করা কল্যাণকর জানান ওই রুমটি তার নিজস্ব এবং তার নামে রয়েছে সেই কারণেই তিনি রুমে চাবি দিয়েছেন। তবে এর সাথে দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কোন সম্পর্ক নেই।
অন্যদিকে বর্তমান ব্লক সভাপতি ফাল্গুনী সিংহ বাবু এই বিষয়ে মুখ খুলতে নারাজ হলেও স্থানীয় তৃণমূল নেতা তথা বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সহ-সভাপতি রামানুসিংহ মহাপাত্র ওই কার্যালয়ের চাবি দেয়ার কথা স্বীকার করেছেন। তিনি বলেন ওই কার্যালয়ের সামনেই রয়েছে তৃণমূল ভবন যেখান থেকে সিমলাপাল ব্লক তৃণমূলের সমস্ত কার্যকলাপ পরিচালিত হয়। তবে ওই কার্যালয় যিনি চাবি দিয়েছেন তার ব্যক্তিগত স্বার্থ জড়িয়ে রয়েছে তবে এর সাথে দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কোন সম্পর্ক নেই।
অন্যদিকে এই ঘটনাকে কটাক্ষ করে স্থানীয় বিজেপির মন্ডল সভাপতি জানান এটা তৃণমূলের সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত ব্যাপার তবে তাদের এই ঝামেলা বা গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে তার প্রকার স্পষ্ট।