সংবাদদাতা,বাঁকুড়াঃ- প্রাচীন রীতি মেনে অষ্টমী ও নবমীর মহাসন্ধীক্ষণে মল্লগড় বিষ্ণুপুরের রাজদরবারের অদূরে থাকা মুর্ছা পাহাড়ে গর্জে উঠল কামান। পর পর তিনবার। ১০২৬ বছরের প্রচীন রাজ পরিবারের এই রীতি। আর প্রতিবারের মতো এবাররে তোপধ্বনীর সাক্ষ্মী থাকতে হাজির হয়েছিলেন এলাকার বহু মানুষ।
প্রায় ১০২৬ বছর আগে মল্ল রাজ জগতমল্ল বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরে প্রতিষ্ঠা করেন মৃন্ময়ীর মন্দির। ধুমধাম করে শুরু হয় দেবী আরাধনা। সেই সময় থেকেই শব্দকে ব্রহ্ম জ্ঞান করে বিষ্ণুপুরের রাজ কূলদেবী মৃন্ময়ীর পুজোতে শুরু হয় তোপধ্বনীর রেওয়াজ। কথিত আছে একসময় বিষ্ণুপুরের মৃন্ময়ীর তোপধ্বনীর শব্দ শুনে গোটা মল্লগড়ে শুরু হত সন্ধীপুজো। সময়ের সাথে সাথে ও শব্দদূষণের কারণে আকার ছোট হয়েছে তোপ। ফলে তোপের শব্দ শোনা যায়না সর্বত্র। তবু হাজার বছরের রীতি মেনে আজো সন্ধীক্ষণে বিষ্ণুপুরের মূর্ছা পাহাড় থেকে গর্জে ওঠে তিনটি তোপ। ইতিহাস আর ঐতিহ্যের সাক্ষী থাকতে ভিড় জমান কাতারে কাতারে মানুষ।