সংবাদদাতা, বাঁকুড়াঃ– বাঁকুড়ার গঙ্গাজলঘাটি থানা এলাকায় আদিবাসী সমাজের এক নেতাকে থানায় ডেকে অপমান, মারধর ও আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ উঠল পুলিশের বিরুদ্ধে। যার প্রোক্ষিতে জাতীয় সড়ক অবরোধ করে ও থানায় অবস্থান বিক্ষোভ ও ডেপুটেশন কর্মসূচীতে সামিল হয়ে প্রতিবাদে সরব হল আদিবাসী সমাজ। অভিযুক্ত পুলিশ আধিকারীকের শাস্তি ও মৃতের পরিবারকে আর্থিক সাহায্য, একজনের চাকরির দাবিতে রবিবার সকালে দেশুড়িয়া মোড়ে বেশ কিছুক্ষণ জাতীয় সড়ক অবরোধ করার পর গঙ্গাজলঘাটি থানায় বিক্ষোভ দেখায় স্থানীয় আদিবাসী সমাজের মানুষজন।
অভিযোগ, গত ২৬ মে গঙ্গাজলঘাটির কুইলাপাহাড়ি গ্রামের ‘মাঝি বাবা’ শিবারতি মুর্ম্মুকে কোন অজ্ঞাত কারণে জনৈক সাব ইন্সপেক্টর মাথার চুল ধরে টেনে থানায় নিয়ে যায় ও অকথ্য ভাষায় গালি গালাজ করেন। অপমান সহ্য করতে না পেরে পরে ২ জুন তিনি আত্মহত্যা করেন। এরপরই অভিযুক্ত পুলিশ আধিকারীকের শাস্তির দাবিতে সরব হয় আদিবাসী সমাজ। ভারত জাকাত মাঝি পারগানা মহলের বাঁকুড়া সদর তল্লাটের পারগানা বাবা বাবুনাথ টুডু বলেন, সাঁওতাল সমাজের নেতৃত্ব স্থানীয় একজন মাঝি বাবার সঙ্গে পুলিশ যে আচরণ করেছে তা মেনে নেওয়া যায়না।
প্রসঙ্গত, কুইলাপাহাড়ি গ্রামের ‘মাঝি বাবা’ বছর আঠাশের শিবারতি মুর্ম্মুর বাড়িতে বাবা, মা ছাড়াও আরো দু’ভাই রয়েছেন। শিবারতি ছিলেন ভাইয়েদের মধ্যে মেজো।