eaibanglai
Homeএই বাংলায়দারীদ্রতা সঙ্গী করেই বাংলার ঐতিহ্যবাহী বাঁশশিল্পকে বাঁচিয়ে রেখেছেন বাঁকুড়ার শিল্পীরা

দারীদ্রতা সঙ্গী করেই বাংলার ঐতিহ্যবাহী বাঁশশিল্পকে বাঁচিয়ে রেখেছেন বাঁকুড়ার শিল্পীরা

শুভ্রাচল চৌধুরী, বাঁকুড়া:- বাংলা হারাতে বসেছে তার বাঁশ শিল্পের নান্দনিক ব্যবহার। বর্তমান প্রযুক্তির যুগে বাঁশ শিল্পের তৈরি মনমুগ্ধ বিভিন্ন জিনিসকে হার মানিয়ে জায়গা করে নিয়েছে স্বল্প দামের প্লাষ্টিকের তৈরি সামগ্রী। প্লাষ্টিকের দাপটে বাজারে বাঁশের তৈরি নানা পন্যের চাহিদা নেই বললেই চলে। এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে বিপন্ন বাংলার বাঁশ শিল্প। বিপাকে পড়েছেন এই বাঁশ শিল্পের সঙ্গে জড়িত শিল্পীরা। তবুও বাপ-ঠাকুরদার এই পেশাকে এখনও জীবিকা হিসেবে ধরে রেখেছেন বাঁকুড়া জেলার গঙ্গাজলঘাটির সিঁদাড়া গ্রামের প্রায় ৫০ টি পরিবার।

এদিকে কদর না থাকায় গ্রামাঞ্চল থেকে হারিয়ে যাচ্ছে বাঁশের তৈরি মনমুগ্ধকর সব সামগ্রী। যেমন ঐতিহ্যবাহী বাঁশের তৈরি ঝুড়ি,মোড়া,ঝাঁপি, ফুলদানি,ঝাড়ু সহ বিভিন্ন নিত্য প্রয়োজনীয় আকর্ষনীয় আসবাবপত্র। অভাবের তাড়নায় এই শিল্পের কারিগররা দীর্ঘদিনের এই পেশা ছেড়ে অন্য পেশার দিকে ঝুঁকছেন । কিন্তু শত অভাব অনটনের মাঝেও বাঁকুড়া জেলার গঙ্গাজলঘাটির সিঁদাড়া গ্রামে হাতে গোনা কয়েকটি পরিবার আজও পৈতৃক এই পেশাটি ধরে রেখেছেন। যেখানে একযুগ আগেও এ এলাকায় একাধিক পরিবার এ পেশার সাথে সম্পৃক্ত ছিল।

বাঁশ শিল্পীরা জানাচ্ছেন বর্তমান সময়ে বাজারে সহজলভ্য ও আর্কষনীয় বিভিন্ন প্লাষ্টিক পণ্য ও আন্যান্য দ্রব্য মূল্যের সাথে প্রতিযোগিতায় টিকতে না পারায় এই শিল্পের অনেক কারিগররা তাদের বাপ-ঠাকুরদার পেশা থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন। অন্যদিকে দিন দিন বিভিন্ন জিনিসপত্রের মূল্য যে ভাবে বাড়ছে তার সাথে পাল্লা দিয়ে বাঁশের দাম বাড়লেও বাঁশের তৈরি শিল্প সামগ্রীর দাম বাড়েনি। যার কারণে কারিগররা এই জীবিকায় সংসার সামলাতে হিমসিম খাচ্ছেন। শিল্পীদের কথায়, একটি বাঁশ থেকে ১০-১২টি মাঝারি ঝুড়ি তৈরি হয়। সকল খরচ বাদ দিয়ে প্রতিটি ঝুড়ি থেকে খুব বেশি হলে ৫-১০টাকা করে লাভ থাকে। পাশাপাশি এই সামগ্রী বিক্রি করার সঠিক বাজারও নেই। তাই শিল্পীরা নিজেরাই বিভিন্ন হাটে গিয়ে ও গ্রামে গ্রামে ফেরি করে এই সব পণ্য বিক্রয় করে বাংলার এই প্রচীন ঐতিহ্যবাহী শিল্পকে বাঁচিয়ে রেখেছেন।

RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments