নিউজ ডেস্ক, এই বাংলায়ঃ লোকসভা রাজ্যে নিজেদের ভিত শক্ত হতেই শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের প্রধান বিরোধী শক্তি হিসেবে পশ্চিমবঙ্গে আত্মপ্রকাশ করেছে বিজেপি। লোকসভা ভোটে শাসকদলের ঘাড়ের ওপরে নিঃশ্বাস ফেলে ১৮ আসন দখলের পর এবার রাজ্য সরকার তথা তৃণমূল কংগ্রেসের বিরোধিতায় সোচ্চার হল বিজেপি। তারই ছবি ধরা পড়ল বাঁকুড়া জেলা জুড়ে। মঙ্গলবার সকাল থেকে বাঁকুড়ার বিভিন্ন এলাকায় শাসকদলের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, স্বজনপোষন, দূর্নীতি, বেহাল রাস্তা ও নিকাশী ব্যবস্থা সহ একগুচ্ছ অভিযোগ নিয়ে রাস্তায় নামল স্থানীয় বিজেপি। এদিন প্রথম মিছিল হয় কুড়ার ওন্দা-১ গ্রাম পঞ্চায়েতে। সেখানে বিজেপি কর্মী- সমর্থকরা মিছিল করে গ্রাম পঞ্চায়েত কার্যালয়ে পৌঁছান। সেখানে পঞ্চায়েত প্রধান মিঠু মালের হাতে তাদের দাবী সম্মিলিত অভিযোগপত্র তুলে দেন।
বিজেপি নেতৃত্বের অভিযোগ, ওন্দা পঞ্চায়েত কার্যালয় বর্তমানে তৃণমূল কংগ্রেসের ‘আখড়া’য় পরিনত হয়েছে। সাধারণ মানুষ কার্যালয়ে নিজেদের প্রয়োজনে শংসাপত্র নিতে এলেও হেনস্থা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ। শুধু তাই নয়, বিজেপির অভিযোগ বেশির ভাগ জায়গাতেই ১০০ দিনের কাজ থেকে বঞ্চিত সাধারন মানুষ, পাশপাশি অকেজো নলকূপগুলি দ্রুত সারাই, নিকাশী নালা সংস্কার, গ্রামের রাস্তাঘাট মেরামত সহ একাধিক দাবিতে এদিন সোচ্চার হন বিজেপি কর্মী সমর্থকরা। একইভাবে দূর্নীতি, স্বজনপোষণ এবং অনুন্নয়নের অভিযোগ তুলে বাঁকুড়ার সোনামুখীর রাধামোহনপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে ডেপুটেশন দিল বিজেপি। মঙ্গলবার স্থানীয় বিজেপি নেতা কর্মীরা উত্তর দেরিয়াপুরের বটতলা থেকে মিছিল করে পঞ্চায়েত কার্যালয়ের সামনে পৌঁছান। সেখানে অবস্থান বিক্ষোভ ও এক পথসভা শেষে রাধামোহনপুর গ্রামপঞ্চায়েত কার্যালয়ে তাদের দাবীপত্র তুলে দেন। আন্দোলনকারী বিজেপি নেতৃত্বের অভিযোগ, ২০১৮ সালে রাজ্যের অন্যান্য গ্রাম পঞ্চায়েতগুলির সঙ্গে এই গ্রাম পঞ্চায়েতটিও তৃণমূল ‘গায়ের জোরে’ নিজেদের দখলে নিয়েছিল। তারপর থেকে সীমাহীন দূর্নীতিতে ডুবে যাওয়ার পাশাপাশি উন্নয়নের কাজ পুরোপুরি স্তব্ধ। পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় দূর্নীতি, একশো দিনের কাজে অস্বচ্ছতা, এলাকাবাসীদের প্রাপ্য মজুরি সহ বিভিন্ন অভিযোগ তোলা হয়েছে শাসকদলের বিরুদ্ধে।