নিউজ ডেস্ক, এই বাংলায়ঃ ফের হাতির হানা, আবারও হাতির হানায় মৃত্যু হল এক ব্যক্তির। ঘটনাস্থল সেই বাঁকুড়া জেলা। জানা গেছে বাঁকুড়ার বেলিয়াতোড়ের পুরুষোত্তম গ্রামে মাঠে তিল চাষ করার সময় হঠাৎ হাতির আক্রমনে প্রাণ হারালেন আনন্দ বাউরি নামে এক ব্যাক্তি। বনদফতর ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বুধবার সকালে আনন্দ বাউরী নামে এক গ্রামবাসী তিল চাষের দেখভাল করতে মাঠে গিয়েছিলেন। সেইসময় মাঠে আরও বেশকয়েকজন নিজের নিজের জমিতে চাষবাস করছিলেন। প্রত্যক্ষদর্শীদের বিবরণ থেকে জানা গেছে, মাঠে কাজকরার সময় হঠাৎ সামনের কাঁটাবেশা জঙ্গল থেকে একটি দাঁতাল হাতি লোকালয়ে ঢুকে পড়ে। জমিতে কর্মরত গ্রামবাসীদের আক্রমণ করলে বাকিরা হাতির তাড়া খেয়ে পালিয়ে যেতে পারলেও হাতির সামনে পড়ে যান আনন্দ বাউরী। সেইসময় দাঁতালটি তাকে প্রথমে শুঁড়ে করে তুলে আছাড় মারে, এবং পরে পা দিয়ে থেঁতলে দেয়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ওই ব্যক্তির। এরপর দাঁতালটি জঙ্গলে ফিরে গেলে স্থানীয় মানুষজন ও পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই মৃতব্যক্তির দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। খবর পেয়ে বেলিয়াতোড়ের রেঞ্জার দেবদাস রায় ঘটনা খতিয়ে দেখে জানান সরকারী নিয়ম অনুযায়ী ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা আছে তা মৃতের পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হবে। কিন্তু ক্ষতিপূরণ থাকলেও বার বার হাতির হানায় মানুষ মৃত্যুর ঘটনায় ক্ষুব্ধ বাঁকুড়াবাসী। তাদের অভিযোগ, হাতির হানায় কোনও মানুষের মৃত্যু বা ক্ষয়ক্ষতি হলে বনদফতর ক্ষতিপূরণ ধার্যন করে তাদের দায় সারে, কিন্তু দিনের পর দিন দলমার দল গ্রামে বা জনবসতিপূর্ণ এলাকাতে ঢুকে পড়লেও তা রুখতে ব্যর্থ তারা। পাশাপাশি গ্রামবাসীদের ক্ষোভ, গ্রামের কোনও পরিবারের রোজগেরে সদস্য আচমকায় হাতির হানায় মৃত্যু হলে বনদফতর এককালীন একটা আর্থিক সাহায্য দিলেও সেই পরিবার তাদের প্রিয়জনকে যেমন আর ফেরত পায় না তেমনি একাকালীন ওই আর্থিক সাহায্যে তাদের সারাজীবনের ভরণপোষণ ও শিক্ষাদীক্ষার চাহিদা পূরণ হয়না। তাই বাঁকুড়াবাসীর দাবি, একের পর এক হাতির হানা ও তার জেরে মৃত্যুমিছিল রুখতে স্থায়ী কোনও ব্যবস্থা নিক বনদফতর।