সংবাদদাতা,বাঁকুড়াঃ- চন্দ্রযান-৩র সফল উৎক্ষেপনের মধ্যে দিয়ে চাঁদের দেশে পাড়ি দিয়েছে ভারত। আর এই স্বপ্ন পূরণে সক্রিয়ভাবে যোগদান করেছেন বাঁকুড়ার পাত্রসায়েরের কৃশানু নন্দী। সাধারণ কৃষক পরিবারের ছেলে কৃশানু ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোয় বৈজ্ঞানিক হিসেবে কর্মরত। চাঁদে যে মুন রোভারটি চলবে সেই রোবটটির বিভিন্ন খুঁটিনাটি এবং গতিবিধির ওপর নজর রাখছে ইসরোর বিশেষজ্ঞ টিম। আর সেই টিমেরই অন্যতম সদস্য কৃশানু। আর তার এই সাফল্যে গর্ব অনুভব করছে কৃশানুর পরিবার সহ বাঁকুড়ার জেলার মানুষ।
বাঁকুড়ার গর্ব কৃশানু নন্দীর বাবা তারাপদ নন্দী জানান যে ছোট থেকেই পড়াশোনায় ভালো ছিলেন কৃশানু। খুব ছোট থেকেই ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার স্বপ্ন দেখতেন। তার মন টানতো মহাকাশ। মেধা আর অদম্য জেদকে সঙ্গী করে সেই স্বপ্ন পূরণ করেন তিনি। বাঁকুড়ার পাত্রসায়রের বামিরা গুরুদাস বিদ্যায়তন থেকে মাধ্যমিকের পর ছাতনার কমলপুর নেতাজি উচ্চবিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞান নিয়ে উচ্চমাধ্যমিক পাশ করেন কৃশানু। তারপর কলকাতার আরসিসি ইনস্টিটিউট অব ইনফর্মেশন টেকনোলজি থেকে বিটেক করেন। এমটেক করেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। এরপর পরীক্ষা দিয়ে ইসরোতে যোগ দেন।
প্রায় তিন বছর আগের চন্দ্রযান ২ প্রজেক্টটিতে যুক্ত ছিলেন না কৃশানু। যদিও দুর্ভাগ্যবশত চাঁদে যাওয়ার সেই প্রয়াস বিফলে যায়। তবে চন্দ্রযান-৩ প্রজেক্টটিতে কাজ করার সুযোগ পেয়েছেন কৃশানু। আর এই প্রজেক্ট সফল হওয়ায় একদিকে দেশের মানুষ যেমন গর্বিত তেমনই গর্বিত লাল মাটির দেশের মানুষও।