সংবাদদাতা,বাঁকুড়াঃ– বাঁকুড়ায় রাতের অন্ধকারে বিজেপি কার্যালয়ে আগুন লাগানোর অভিযোগ উঠল শাসক দল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। যদিও অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবী করেছে তৃণমূল নেতৃত্ব।
অভিযোগ,সোমবার গভীর রাতে বাঁকুড়ার তালডাংরা বাজার এলাকায় অবস্থিত তালডাংরা মন্ডল দুই-র বিজেপি কার্যালয়ের আগুন লাগিয়ে দেয় তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা। বিষয়টি নজরে আসে রাতের পাহাড়ায় দায়িত্বে থাকা সিভিক ভলান্টিয়ারদের। তাদের মাধ্যমেই কার্যালয়ে আগুন লাগার খবর পান স্থানীয় বিজেপি কর্মীরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান বিজেপির মন্ডল সভাপতি সহ অন্যান্য বিজেপি কর্মীরা। পাশাপাশি পৌঁছয় তালডাংরা থানার আইসি সহ পুলিশ কর্মীরা। বিজেপি কর্মীরাই জল দিয়ে আগুন নেভান। অগ্নিকাণ্ডে বেশকিছু আসবাব পত্র সহ দলীয় পতাকা পুড়ে ছাই হয়ে গেছে বলে দাবী।
ঘটনায় শাক দলের বিরুদ্ধে অভিযোগের তীর বিজেপির। পাশাপাশি পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব। তাদের প্রশ্ন থানা থেকে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে কার্যালয়ে সিভিক ভলান্টিয়াররা পাহাড়ায় থাকা সত্ত্বেও এই ঘটনা কি করে ঘটল?
বিষয়টি নিয়ে জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক বিপদতারণ সেন এবং মন্ডল সভাপতি বাসুদেব বারিক জানান, গতকাল আমাদের ছাতনায় একটি বিজেপির কর্মসূচী ছিল। ওই কর্মসূচীতে প্রায় শতাধিক বিজেপি নেতৃত্ব ও কর্মীরা অংশ নিয়েছিলেন। সে দৃশ্য দেখেই তৃণমূলের নেতৃত্বরা জ্বলে উঠেছে। এবং সুযোগ বুঝে রাতের অন্ধকারে বিজেপি কার্যালয়ে আগুন লাগিয়ে দেয়। তৃণমূল জানে যে তালডাংরায় বিজেপি সাংগঠনিক ভাবে অনেক শক্তিশালী হচ্ছে আর বর্তমানে তৃণমূলের কাছ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে সাধারন মানুষজন। তাই আসন্ন পঞ্চায়েত ভোট জেতার লক্ষ্যে তৃণমূল মরিয়া হয়ে উঠেছে। এখন তারা হিংসা ও ভয় দেখানোর রাজনীতিতে নেমে এইসব কান্ড ঘটাচ্ছে। তবে বিজেপির দাবি যতই ভয় বা সন্ত্রাস দেখাক তৃণমূল, সুস্থ নির্বাচন হলে তালডাংরায় একটি পঞ্চায়েতও পাবে না শাসক দল।
যদিও বিজেপির আনা অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃনমূলের স্থানীয় ব্লক সভাপতি তারাশঙ্কর রায়। তিনি বলেন ২০১১ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলায় গনতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছে। যে কোনো রাজনৈতিক দল তাদের কার্যকলাপ করতে পারে। তবে এই ধরনের নোংরা রাজনীতি তৃণমূল করে না। বিজেপির আনা অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে দাবী করেন তিনি।