সংবাদদাতা,বাঁকুড়াঃ- বাঁকুড়ার শহরের গা ঘেঁষে বয়ে যাওয়া গন্ধেশ্বরী নদীকে ছোট নদী বলেই চেনেন শহরের মানুষ। বছরভর শুকনো, খটখটে গন্ধেশ্বরীকেই দেখতে অভ্যস্ত বাঁকুড়াবাসী। কিন্তু বর্ষায় সেই গন্ধেশ্বরী ফুলে ফেঁপে ওঠে। আর বছরের এই সময়টায় পূর্ণ যুবতী গন্ধেশ্বরীর রূপে মুগ্ধ হন শহরবাসী।
নিম্নচাপের জেরে বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হওয়া টানা বৃষ্টিতে সেই রূপ ফিরে পেয়েছে সেই ছোট নদী গন্ধেশ্বরী। শুক্রবার বিকেলে বৃষ্টি একটু কমতেই ফুলে ফেঁপে ওঠা নদীর রূপ ও তার তর্জন গর্জন শুনতে নদীর পাড়ে ভিড় জমান শহরবাসী। গন্ধেশ্বরীর সেই অপার্থিব ছবি দেখতে বাঁকুড়া শহর সংলগ্ন সতীঘাট সেতুর উপর ভিড় জমে যায় মানুষের। কেউ কেউ সেই ছবি মোবাইল ক্যামেরায় বন্দি করে রাখার সুযোগ হাতছাড়া করেননি।
অন্যদিকে এদিনের এই নদী দর্শন যেন ছোটখাট উৎসবে পরিণত হয়ে যায়। মানুষের জমায়েতের পাশাপাশি পসার সাজিয়ে বসে পড়ে ছোট ছোট খাবারের দোকান। কোথাও চা, কোথাও ভুট্টা আবার কোথাও ফুচকার দোকান।
শহরের প্রবীণ নাগরিক আলোক মণ্ডল এদিন বলেন, “গন্ধেশ্বরীর দু’কূল বেয়ে জল দেখার সুযোগ সবসময় হয়না, অতি দূর্লভ ছবি।” তাই আর পাঁচজনের মতো তিনি নদী দেখতে পৌঁছে গেছেন। আবার বর্তমান প্রজন্মের সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়ের কথায়, ‘এ যেন মরা গাঙ্গে বান এসেছে’।
উল্লেখ্য, বছরভর এই নদীতে সেভাবে জল না থাকায় হঠাৎ দেখলে কোন নদী মনে না হয়ে মজে যাওয়া খাল হিসেবেই মনে হতে বাধ্য। কিন্তু ভরা বর্ষায় নিজের জাত চেনায় নদী গন্ধেশ্বরী।