সোমনাথ মুখার্জী, লাউদোহা- দুর্গাপুর ফরিদপুর ব্লকের প্রতাপপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত প্রতাপপুর গ্রামের বাদ্যকর পাড়ায় প্রায় ৩০০ জন হস্তশিল্পীর বসবাস। কেউ তৈরি করেন মোড়া, কেউ কেউ তৈরি করেন বেতের ঝুড়ি, কুলো ইত্যাদি। এইভাবেই তাদের জীবিকা চলে বলে জানান শিল্পীরা। এক মহিলা শিল্পী পার্বতী বাদ্যকর জানান, জন্ম থেকেই তারা এই কাজের সঙ্গে যুক্ত। বসার জন্য বাঁশের কঞ্চি দিয়ে তৈরি মোড়া তৈরি করেন তারা, কিন্তু বর্তমানে ফাইবারের নানান অত্যাধুনিক বসবার জিনিসপত্র বাজারে আসায় তাদের ব্যবসায় মন্দা দেখা দিয়েছে। কদর কমেছে বাঁশের কঞ্চির তৈরী মোড়ার। লুপ্ত হতে চলেছে এই শিল্প। এই বেতের তৈরি আসবাবপত্রের কাজে প্রায় ১৫ বছর ধরে যুক্ত শম্ভু বাদ্যকর জানান, একেকটা মোড়া তৈরি করতে দুই দিন সময় লাগে এবং প্রতিটি মোড়া তৈরী করতে খরচ হয় ২০ থেকে ২২ টাকা। আজকের দিনে যখন ফাইবারের বসবার বাজার ছেয়ে গেছে তাই কদর কমেছে বাঁশের তৈরি মোড়ার। তাই ৩৫ থেকে ৪০ টাকা খুব জোর ৫০ টাকা দরে একটা মোড়া বিক্রি করতে পারেন তারা। এই নূন্যতম লাভে সংসার চলে না তাদের। খুব অনটনের সঙ্গে ছেলেমেয়েদের লালন পালন করতে বাধ্য হচ্ছেন দুর্গাপুর ফরিদপুর ব্লক এর প্রতাপপুর গ্রামের বাদ্যকর পাড়ার এই শিল্পীরা। যেখানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এভাবে পিছিয়ে পড়া ক্ষুদ্র শিল্পীদের উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন প্রকল্প এনেছেন পঞ্চায়েত স্তরে সেখানে প্রতাপপুর পঞ্চায়েতের এই বাদ্যকর পাড়ার শিল্পীরা সরকারি সাহায্য এখনো পাননি বলে অভিযোগ। অন্যদিকে প্রতাপপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান সঞ্জয় মুখার্জী জানান, ইতিমধ্যেই ৬১ জন ক্ষুদ্র শিল্পীকে সাহায্য করা হয়েছে। বাকি অন্যান্য শিল্পীদেরও সাহায্য করা হবে তাদের শিল্পকে এগিয়ে নিয়ে যাবার জন্য।