eaibanglai
Homeএই বাংলায়বাঁকুড়ায় জঙ্গলের মাঝে ঐতিহাসিক বিমানঘাঁটিতে পৌঁছে যেতে পারেন আপনিও

বাঁকুড়ায় জঙ্গলের মাঝে ঐতিহাসিক বিমানঘাঁটিতে পৌঁছে যেতে পারেন আপনিও

সংবাদদাতা, বাঁকুড়া:- জানেন কি বাঁকুড়া জেলায় একেবারে জঙ্গলের মাঝে রয়েছে একটি ঐতিহাসিক বিমানঘাঁটি! বিমানঘাঁটিটি রয়েছে সুবিশাল রানওয়েও। তবে বিমানঘাঁটিটি বর্তমানে জনমানব হীন পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। জঙ্গলের মাঝে বিমানঘাঁটিকে দেখলে মনে হবে আপনি কোনও অন্য জগতে চলে এসেছেন। হ্যাঁ চাইলে আপনিও দেখতে পারবেন এই বিমানঘাঁটি বা এয়ারফিল্ডটি। ভাবছেন কীভাবে যাবেন এমন অন্যজগতে? তবে চলুন দেখে নেওয়া যাক কীভাবে পৌঁছবেন একেবারে জঙ্গলের মাঝে অবস্থিত এয়ারফিল্ডটিতে।

এখানে যে ফিল্ডটির কথা বলা হচ্ছে তার নাম পিয়ার্ডোবা এয়ারফিল্ড। বাঁকুড়া জেলার বিষ্ণুপুর থেকে প্রায় ১১ কিলোমিটার দূরে বাসুদেবপুরে অবস্থিত এই ঐতিহাসিক সামরিক বিমানঘাঁটি। ১৯৪২ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় তৈরি করা হয়েছিল এই বিমানঘাঁটিটি। ১৯৪২-১৯৪৫ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন ব্যাবহৃত হয় এই এয়ারফিল্ডটিটি। জানা যায় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় আমেরিকান বাহিনীর 462d বোম্বার্ডমেন্ট গ্রুপ মারিয়ানা দ্বীপপুঞ্জে পৌঁছনোর আগে পিয়ার্ডোবা এয়ারফিল্ড ব্যাবহার করেছিল। একসময় যুদ্ধ বিমানের আনাগোনা থাকলেও বর্তমানে সামরিক এই এয়ার ফিল্ড যেন ভুতুড়ে এক জায়গা। ঝোপ জঙ্গলে ঢেকে গেলেও সুবিশাল রানওয়ে আজও বিদ্যমান। বর্তমানে ভারতীয় বায়ুসেনার অধীনে রয়েছে পিয়ার্ডোবা এয়ারফিল্ডটি।

আন্তর্জাতিক ইতিহাসের সাক্ষী থাকতে একবার ঘুরে আসতেই পারেন এই পরিতিক্ত জায়গা। জিপিএসে খুব সহজেই জায়গাটির লোকেশন পেয়ে যাবেন। তবে যাওয়ার আগে মাথায় রাখতে হবে বেশ কয়েকটি গুরুতবপূর্ণ বিষয়। সূর্যের আলো থাকতে থাকতে যদি পৌঁছে যান তাহলে কাছেই থাকা একটি “ওয়াচ টাওয়ার” থেকে উপভোগ করতে পারবেন মনোরম জঙ্গলের পরিবেশ। তবে মাথায় রাখতে হবে যে এই জঙ্গল অত্যন্ত হাতি প্রবণ অঞ্চল, ফলেই বিশেষ সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। সঙ্গে মোবাইলের নেটওয়ার্কের সমস্যা হতে পারে।

RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments