এই বাংলায়, নিউজ ডেস্কঃ ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড়ে লন্ডভন্ড বাঁকুড়ার রানীবাঁধ ব্লক এলাকার নারকলি গ্রাম। মুকুটমনিপুর, কংসাবতী জলাধার থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে এই গ্রামে ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড়ে আছড়ে পড়ায় ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হল ৩০টিরও বেশী খড়ের বাড়ি। ঝড়ের দাপটে বেশ কিছু বাড়ির করগেটের চালও উড়ে গেছে, ভেঙে পড়েছে বেশ কিছু গাছপালাও। ঘটনায় কেউ হতাহত না হলেও ক্ষতির পরিমাণ প্রায় কয়েক লক্ষ টাকা ছাড়িয়েছে বলে জানিয়েছেন গ্রামবাসীরা। ঘূর্নিঝড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির খবর পেয়ে স্থানীয় বিধায়ক জ্যোৎস্না মাণ্ডি ক্ষতিগ্রস্ত নারকলি গ্রামে পৌঁছান। সেখানে ক্ষতিগ্রস্ত গ্রামবাসীদের সাথে কথা বলেন তিনি। কিন্তু সামনেই লোকসভা নির্বাচন, তাই আদর্শ নির্বাচনী আচরণবিধি লাগু থাকায় তিনি এইমুহূর্তে গ্রামবাসীদের কোনওভাবে আর্থিক সহায়তা বা প্রতিশ্রুতি দিতে পারবেন না বলেই স্পষ্টতই জানিয়ে দিয়েছেন। একদিকে যখন ঘুর্ণিঝড়ের দাপটে দিশেহারা রানীবাঁধ ব্লকের বাসিন্দারা তখন চুপিসারে রাতের অন্ধকারে জনবহুল এলাকায় সার্জিক্যাল স্ট্রাইক চালালো একদল দাঁতাল। রাতের অন্ধকারে সোনামুখীর মানিকবাজার পঞ্চায়েতের কড়াশলি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাঁচিল ভেঙে স্কুলে ঢুকে পড়ে একদল দাঁতাল। স্কুলে মজুত মিড ডে মিলের চালের গন্ধে দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে মিড ডে মিলের সমস্ত চাল খেয়ে ছড়িয়ে নষ্ট করে হাতির পাল। এরপর ফের রাতের অন্ধকারেই জঙ্গলে ঢাকা দেয় তারা। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কৃষ্ণচন্দ্র রায় বলেন, আগেও বহুবার স্কুলের আশে পাশে দিয়ে দাঁতালের পাল চলে গেলেও স্কুলের কোনও ক্ষতি করেনি, তবে এবার আর বেহাই দিল না। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিয়োগ, হাতির উপদ্রব ক্রমেই বেড়ে চলেছে। বনদপ্তরকে জানিয়েও কোনও লাভ হচ্ছে না। যদিও বনদপ্তরের দাবি, সর্বদাই ক্ষতিগ্রস্তদের আর্থিকভাবে সাহায্য করা হয়।