নিউজ ডেস্ক, এই বাংলায়ঃ বর্তমান বিশ্বের দূষণের মাত্রা সম্পর্কে অবগত নন এমন মানুষ পাওয়া আজ বিরল। প্রতিনিয়ত যেভাবে পৃথিবী দূষিত হচ্ছে, যেভাবে প্রকৃতির সম্পদের ক্ষয় হচ্ছে তা দেখে পরিবেশবিদরাও অত্যন্ত আশঙ্কিত যে অদূর ভবিষ্যতে আমাদের আগামী প্রজন্মের বেঁচে থাকার রসদও বোধহয় পৃথিবীর বুকে আর থাকবে না। যেভাবে দিনের পর দিন মনুষ্য জগত সবুজ ধ্বংসে মেতে উঠেছে তার জেরে গত কয়েক বছরে যেভাবে আবহাওয়ার পরিবর্তন ঘটেছে তা আশঙ্কিত করে তুলেছে পরিবেশবিদ ও বিজ্ঞানীদের। দিনের পর দিন নির্বিচারে সবুজ ধ্বংসের ফলে পরিবেশে দূষণের মাত্রা যেমন অত্যাধিক হারে বেড়েছে তেমনি দেখা দিয়েছে বিশ্বজুড়ে জলসংকট। যে হারে বর্তমানে জলের স্তর কমতে শুরু করেছে তাতে আগামী কয়েক বছরের মধ্যে পৃথিবীর বুকে ভয়াবহ জল সংকট দেখা দিতে পারে বলে জানিয়েছেন ভূবিজ্ঞানীরা। যার রেশ ইতিমধ্যেই ভারতবাসী উপলব্ধি করতে পারছে। কিন্তু এত কিছুর পরেও আমাদের মধ্যে কোনও পরিবর্তন নেই। তাই আজও নির্বিকারচিত্তে আমরা শুধুমাত্র নিজেদের স্বার্থসিদ্ধি করতে সবুজের ধ্বংসে মেতে রয়েছি। যার ছবি ধরা পড়ল বাঁকুড়ার সোনামুখী থানার রাধামোহনপুর অঞ্চলের বেলোয়া গ্রামের জঙ্গল ধ্বংসের ঘটনায়। যেখানে বহু বছর ধরে রয়ছে ইউক্যালিপটাস, সোনাঝড়ির মতো নানান মুল্যবান গাছ। এই জঙ্গল দেখাশোনার দায়িত্বে রয়েছে রাধামোহনপুর পঞ্চায়েত। যদিও স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি খাতায় কলমেই জঙ্গল রক্ষার দায়িত্ব রয়েছে পঞ্চায়েতের হাতে অথচ তাদেরই নাকের ডগায় দিনের পর দিন বেআইনীভাবে এই জঙ্গল থেকে নির্বিচারে কেটে নেওয়া হচ্ছে বিশাল বিশাল মূল্যবান গাছ। ফলে ধীরে ধীরে ফাঁকা হতে বসেছে এই অরণ্য। এলাকা বাসীদের অভিযোগ, কিছু অসাধু ব্যাক্তিরাই নিজেদের প্রয়োজন মেটাতে পঞ্চায়েতের নজর এড়িয়ে বাগান থেকে প্রত্যেকদিন গাছ কেটে ফেলছে। তাদের বক্তব্য পঞ্চায়েতের তরফে একটু নজরদারি চালালেই এই বেআইনী গাছকাটা বন্ধ করা সম্ভব। অন্যদিকে এই অভিযোগের পাল্টা হিসেবে সোনামুখী ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি প্রণব রায় বেআইনিভাবে গাছ কাটার কোনো অভিযোগ বা খবর নেই বলেই নিজের দায় এড়ালেন। তাঁর দাবি, পঞ্চায়েতের তরফে যথেষ্ট নজরদারি চালানো হয়। এধরনের ঘটনা ঘটলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।