সংবাদদাতা,বাঁকুড়াঃ– দেওরকে খুনের অভিযোগে তার বিধবা বৌদি ও তার প্রেমিককে গ্রেফতার করল পুলিশ। ঘটনাটি বাঁকুড়ার খাতড়া মহকুমা এলাকার। পুলিশের দাবি প্রাথমিক তদন্তে তারা জানতে পেরেছে রীতিমতো ছক কষে ঠাণ্ডা মাথায় খুন করা হয় দেওর অসিত প্রতিহারকে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে স্বামীর মৃত্যুর পর তার দুই সন্তানকে নিয়ে সারেঙ্গার মাকারকোল গ্রামে শ্বশুরবাড়িতে দেওর অসিত প্রতিহারের সঙ্গেই থাকতেন গোলাপী প্রতিহার, কিন্তু তাদের মধ্যে বনিবনা হতো না। এরই মধ্যে পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দকুমার থানার খঞ্জিরবাড়ি এলাকার বাসিন্দা গোপালচন্দ্র জানার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয় গোলাপী প্রতিহারের। কিন্তু তাদের পথের কাঁটা হয়ে দাঁড়ায় অসিত। অভিযোগ এরপরই গোলাপী ও তার প্রেমিক গোপাল অসিতকে খুনের ছক কষে। অসিত প্রতিহারকে নিজের খঞ্জিরবাড়ির বাড়িতে যাওয়ার নিমন্ত্রণ করে গোপাল জানা। সেই মতো গত ৬ আগস্ট গোলাপী ও অসিত গোপালের বাড়ি যায়। সেখানে এলাহি খাওয়া দাওয়া করিয়ে আপ্যায়ন করা হয় অসিতকে। পরদিন অসিত বাড়ি ফিরতে চাইলেও তাকে থাকার জন্য পিড়াপিড়ি করতে থাকে গোপাল। সেই পিড়াপিড়িতে থেকে যান অসিত। আর সেই থেকে যাওয়াই কাল হয়ে দাঁড়ায়। অভিযোগ গত ৭ আগস্ট অসিতকে মদ্যপান করিয়ে পুকুরের জলে চুবিয়ে খুন করে গোপালী ও গোপাল। ছক কষে খুন করে আবার সারেঙ্গার বাড়িতে ফিরে আসে গোলাপী। ঠিক করে অসিত নিখোঁজ জানিয়ে কিছু দিন পর গোপালের সঙ্গে বিয়ে করে নতুন করে ঘর পাতবেন। পরিকল্পনা মতো সব ঠিকঠাক চললেও পাড়া প্রতিবেশীরাই কাঁটা হয়ে দাঁড়ায়। তাদের সন্দেহ হওয়ায় তারা সারেঙ্গা থানায় অভিযোগ জানালে তদন্তে নামে পুলিশ ও খুনের অভিযোগে গোলাপী ও গোপালকে গ্রেফতার করে । মঙ্গলবার তাদের খাতড়া মহকুমা আদালতে তোলা হলে তাদের ৭ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। পুলিশের দাবি, ধৃতরা ইতিমধ্যেই জেরায় নিজেদের অপরাধ স্বীকার করেছে। এবার হেফাজতে নিয়ে তাদের দু’জনকে মুখোমুখি বসিয়ে ফের ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ চলানো হবে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
