সংবাদদাতা, বাঁকুড়া:- সম্প্রতি বাঁকুড়ার গন্ধেশ্বরী নদীর উপর সতীঘাট ব্রিজের উদ্বোধন হয়েছে। উদ্বোধন করেছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী। এলাকার নামেই সেতুটির নামকরণ করা হয়েছে। কিন্তু জানেন কি ওই এলাকার নাম সতীঘাট কীভাবে হল? কি বলছে ইতিহাস?
বাঁকুড়ায় স্থানীয় মানুষদের মধ্যে সতীঘাট নামকরণ নিয়ে ধোঁয়াশা বরাবরের। অনেকেই মনে করেন সতীদাহ প্রথা থেকেই হয়তো সতীঘাট নামটি এসেছে। সঠিক তথ্য জানতে, আমাদের পিছিয়ে যেতে হবে প্রায় দেড়শো বছর আগে। জমিদার হরিশংকর বাবু বিবাহ করেছিলেন বর্ধমান রাজার দেওয়ান রমাকান্ত রায়ের কন্যা মঙ্গলা দেবীকে। অপূর্ব সুন্দরী সর্বগুণ সম্পন্ন মঙ্গলা দেবী ছিলেন সহানুভূতিশীল। দান ধ্যানের জন্য এলাকার মানুষের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিলেন মঙ্গলাদেবী। পাশাপাশি প্রকৃত সতী বলতে যা বোঝায় সেই অসূর্যস্পর্শী হিসেবই খ্যাত ছিলেন তিনি। ছয় পুত্র এবং দুই কন্যাকে রেখে দেহত্যাগ করেন মঙ্গলাদেবী। মহাসমারোহে তৎকালীন সময়ের গন্ধেশ্বরী নদীর তীরে শ্মশান বক্ষে তাঁকে দাহ করা হয়। বর্তমান হনুমান মন্দিরের উত্তর-পশ্চিম কোণে কোন একটি জায়গাতে দাহ করা হয়েছিল মঙ্গলা দেবীকে। বর্তমানে সেই ঘাট ও শ্মশান এখন নদীবক্ষে হারিয়ে গেছে। ইতিহাসবিদদের একাংশের মতে সতী হিসেবে পরিচিতি পাওয়া মঙ্গলাদেবীকে দাহ করার পর থকেই শ্মশান সংলগ্ন নদীঘাটটি সতীঘাট হিসেবে পরিচিতি পায়।