eaibanglai
Homeএই বাংলায়নির্বাচনের প্রাক্কালে বাঁকুড়ায় শাসক দলে ভাঙন, বিদায়ী প্রধানের দলে প্রত্যাবর্তন

নির্বাচনের প্রাক্কালে বাঁকুড়ায় শাসক দলে ভাঙন, বিদায়ী প্রধানের দলে প্রত্যাবর্তন

সংবাদদাতা,বাঁকুড়াঃ- রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়া শেষ হতে না হতে বাঁকুড়ার গঙ্গাজলঘাটিতে শাসক দলে ভাঙন। গঙ্গাজলঘাটির নিত্যান্দপুর অঞ্চলের চৈতন্যপুর গ্রামের শতাধিক কর্মী রবিবার ঘাসফুল ছেড়ে হাত মেলাল পদ্ম শিবিরে। দলের বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হওয়ার অভিযোগ তুলে এদিন চৈতন্যপুর গ্রামের ২৪০ জন কর্মী তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন বলে দাবি স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বের। পাশাপাশি পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূলের প্রার্থী চয়ন এবং বিভিন্ন দুর্নীতির বিষয়ে সরব হন দলত্যাগীরা। বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সভাপতি বিল্লেশ্বর সিনহার উপস্থিতিতে তারা বিজেপির পতাকা হাতে তুলে নেন। যদিও বিষয়টি নিয়ে গুরুত্ব দিতে রাজি হয়নি স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব।

অন্যদিকে পঞ্চায়েত নির্বাচনে দলের টিকিট না পেয়ে সারেঙ্গা গ্রাম পঞ্চায়েতের বিদায়ী পঞ্চায়েত প্রধান তৃণমূলের কৃষ্ণা দত্ত দলে ছেড়ে কংগ্রেস শিবিরে যোগ দিয়েছিলেন দিন দুই আগে। কিন্তু সেখানেও সুবিধা না হওয়ায় রবিবার ফের শাসক শিবেরে প্রত্যাবর্তন করলেন তিনি। এবিষয়ে কৃষ্ণাদেবীক প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, তৃণমূল কংগ্রেসকে তিনি মন প্রাণ দিয়ে ভালোবাসেন। কংগ্রেস শিবিরে গিয়েও তার মন মোটেও ভালো ছিল না, তাই ফের তৃণমূল কংগ্রেসে প্রত্যাবর্তন।

এদিকে যেদিন তিনি কংগ্রেসে যোগদান করেছিলেন সেই দিন বাঁকুড়ার রায়পুর বিধানসভার বিধায়ক মৃত্যুঞ্জয় মুর্মকে কৃষ্ণাদেবীর দলবলদল নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেছিলেন, এলাকার মানুষ তাকে চায়নি, তাই টিকিট দেওয়া হয়নি। এতে দলের কিছু যাবে আসবে না। এদিন ফের তৃণমূল কংগ্রেসের প্রত্যাবর্তনের পর সুর পরিবর্তন সেই বিধায়কের, তিনি জানান, অভিমানে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল তা মিটেও গেছে।

RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments